মিলন পণ্ডা, পূর্ব মেদিনীপুর, ১২ সেপ্টেম্বর: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু’র গড় পূর্ব মেদিনীপুরের সমবায় নির্বাচনে ধরাসায়ী বিজেপি (Trinamool)। সবকটি আসনে জিতল তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। সবুজ আবির উড়িয়ে উল্লাস করেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল লিড পাবে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী এমনই হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বরা।
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ১ ব্লকের মহম্মদপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন ছিল। নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা ছিল চরমে। মোতায়েন করা হয় ভগবানপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ফলাফল ঘোষণার পরই তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করে। সমবায় জয় রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি’কে তীব্র কটাক্ষ করেছেন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বরা। যদিও গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্বরা।
জানাগিয়েছে, মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ১ ব্লকের মহম্মদপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন। সমবায় সমিতি মোট আসন ৯ টি। মোট ভোটার ৭৭৫। প্রত্যেকটি আসনে লড়াই করে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। এদিকে রাম ও বাম একজোট প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বলে দাবি তৃণমূলের।
সকাল ১০ টা ভোট দান প্রক্রিয়া শুরু হয়। সমবায় সমিতি নির্বাচনে ৬২৪ জন ভোট দেন। ৪৭ টি ভোট বাতিল হয়ে যায়। নির্বাচনের গণনার পর তৃণমূল সমর্থিত প্রত্যেক প্রার্থী জয়লাভ করে। সবুজ আবির উড়িয়ে উল্লাস করেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। এলাকায় মিছিল করেন। ভগবানপুর ১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবিন মণ্ডল বলেন ” এই জয় বাংলায় উন্নয়নের জয়। সমস্ত জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানাই “।
ভগবানপুর ১ ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌরভ কান্তি বেরা বলেন ” কৃষি উন্নয়ন সমিতি নির্বাচন ছিল। তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা প্রত্যেকটি আসনে জয়লাভ করেছে। রাম ও বামের জোটের প্রার্থীরা ধরাসায়ী। রাতের অন্ধকারে বিজেপি, বাম ও রামের প্রার্থীরা মানুষকে ভয় দেখিয়ে কিছু করতে পারেনি।
আগামী ২৬শে বিধানসভা নির্বাচনে, মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সহ পাশের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী লিড পাবে। আগামী দিনে চণ্ডীপুর বিধানসভা আসনটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেবো “।
জাঁকজমকপূর্ণভাবে লঞ্চ হওয়া প্রিমিয়াম বাইক চিরবিদায় জানাল ভারতকে
যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব দাবি ” পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় গুণ্ডা দিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের অধিকার লুট করেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে মানুষ তার জবাব দিয়েছিল, আগামী ২৬শে বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ যোগ্য জবাব দেবে “।