জয়েন্ট মেধা তালিকার প্রথম দশ পাড়ি দিয়েছে ভিন রাজ্যে

শুক্রবার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রকাশ হয়েছে জয়েন্টের মেধা তালিকা (Joint Merit List)। ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে জল ঘোলা চলছিল বহুদিন ধরেই। গত মে মাসে কলকাতা হাইকোর্ট…

Joint Merit List

শুক্রবার অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রকাশ হয়েছে জয়েন্টের মেধা তালিকা (Joint Merit List)। ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে জল ঘোলা চলছিল বহুদিন ধরেই। গত মে মাসে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ এর পর ইস্যু হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। তার পর রাজ্য এবং আদালতের এই টানাপোড়েন শেষপর্যন্ত গিয়ে পৌঁছয় শীর্ষ আদালতে।

সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলে তড়িঘড়ি এই জয়েন্টের মেধা তালিকা প্রকাশ হয় গতকাল। কিন্তু এই লড়াইয়ে যা হবার তা হয়ে গেছে। আবার কিছু বাংলার মেধা রাজ্য সরকারের বদান্যতায় ভিন রাজ্যে পারি জমিয়েছে। জয়েন্টের মেধা তালিকার প্রথম নয় জন ছাত্র তারা অনেক আগেই রাজ্য ছেড়ে চলে গেছে অন্য রাজ্যে।

   

প্রথম স্থান অধিকার করা অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী ভর্তি হয়েছেন খড়গপুর IIT তে। দ্বিতীয় সামাইজ্যোতি ভর্তি হয়েছেন মুম্বই IIT তে। তৃতীয় স্থান অধিকারকারী দিসান্ত বসু ভর্তি হয়েছেন বেঙ্গালুরু র একটি কলেজে। ঠিক এমন ভাবেই বাংলার মেধারা রাজ্যের কৃতকর্মে বিফল মনরথ হয়ে চলে গেছেন ভিন রাজ্যে। স্বভাবতই এই ঘটনায় চটেছেন রাজ্যবাসী।

আবারও সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন সমালোচক কুল। তাদের একাংশের মতে পশ্চিমবঙ্গে মমতা সরকারের এই তোষণ নীতি এবং ওবিসি দুর্নীতির ফলে এই মেধাবী ছাত্ররা রাজ্যের বাইরে চলে গেছে। আবার অনেকে বলেছেন রাজ্যে শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান দুয়েই দুর্নীতি। তার চেয়ে ভালো এই মেধাবী ছাত্ররা ভিন রাজ্যে পড়াশুনো করুক।

আবার তাদের একাংশের মতে রাজ্যে শিল্প কোথায় বাংলার মেধারা এখানে কি করবে। বাংলায় শুধু মাত্র রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নেই তাই বাংলার এই উজ্জ্বল ছাত্রদের ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হল বলে মোট প্রকাশ করেছেন অনেকে। কয়েকজন অভিভাবকের মতে জয়েন্ট পরীক্ষার পর দীঘদিন ছাত্রদের বসে থাকতে হয়েছে শুধু মাত্র রাজ্য সরকারের অপদার্থতার জন্য।

Advertisements

তারচেয়ে ছেলে মেয়েরা প্রাইভেট কলেজগুলিতে কিংবা IIT গুলিতে চেষ্টা করুক যাতে তাদের জীবনের মূল্যবান একটা বছর নষ্ট না হয়। তারা আরও বলেছেন যে এই সরকার শুধু মাত্র ওবিসি দুর্নীতি নয় পুরো শিক্ষা ব্যাবস্থার মধ্যেই দুর্নীতি ছড়িয়ে দিয়েছে। প্রাইভেট কলেজ গুলো অনেক টাকা নিলেও সেখানে রাজনীতির সুযোগ নেই তাই ছাত্ররা ফলের আশায় বসে না থেকে প্রাইভেট কলেজগুলোতে ভর্তি হচ্ছে।

প্রতিমা তৈরিতে বাধা, আবহাওয়ায় চিন্তিত শিল্পীরা

তবে সমোলোচকরা আরও বলেছেন প্রথমে বাম জমানা আর এখন ঘাসফুল জমানা দুই জমানাতেই মেধাবী ছাত্রদের রাজ্যে স্থান দিতে পারেনি সরকার তাই পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাতে সরকার এখন ই উদ্যোগী হোক।