তৃণমূল কংগ্রেস আগামী বিধানসভা নির্বাচনের (2026 Assembly Elections) প্রচারে নতুন কৌশল নিচ্ছে, যেখানে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগকে ইস্যু করে এবং রাজ্যের নিরপেক্ষ পরিষেবা প্রদানের বিষয়টি জোর দিয়ে তুলে ধরা হবে। বিশেষ করে “বাংলার বাড়ি প্রকল্প”-এর টাকা কেন্দ্র না দেওয়ার অভিযোগকে সামনে রেখে রাজ্যের নিজস্ব উদ্যোগে এই প্রকল্পে বিরোধী দলের সদস্যদেরও অর্থ দেওয়া হচ্ছে বলে প্রচার চালানো হচ্ছে।
তৃণমূলের কৌশল ও পরিকল্পনা:
1. কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রচার:
কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরা।
প্রধানমন্ত্রীর স্লোগান “সবকা সাথ, সবকা বিকাশ”-এর ব্যর্থতা তুলে ধরা।
2. “বাংলার বাড়ি” প্রকল্পের উদাহরণ:
বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরাও এই প্রকল্পের আওতায় টাকা পেয়েছেন, এটি তুলে ধরা।
নিরপেক্ষ পরিষেবার বিষয়টি গ্রামীণ জনগণের মধ্যে তুলে ধরা।
3. সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার:
রাজ্যের উদ্যোগ এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার।
কেন্দ্রের বঞ্চনার বিষয়টি তুলে ধরা।
4. গ্রামাঞ্চলে প্রচার জোরদার:
পিছিয়ে থাকা ব্লকগুলোতে বেশি প্রচার চালানো।
স্থানীয় স্তরে প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে যোগাযোগ করে সরকারের উদ্যোগের প্রচার।
5. পঞ্চায়েত ভোটের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো:
পঞ্চায়েত ভোটে আবাস প্রকল্পের ইস্যুকে সফলভাবে ব্যবহার করায় সেই অভিজ্ঞতাকে বিধানসভা ভোটে প্রয়োগ করা।
কেন এই কৌশল?
বিরোধীদের বিভ্রান্তি: বিরোধীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণত পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনে। নিরপেক্ষ পরিষেবা প্রদানের উদাহরণ দিয়ে তৃণমূল সেই অভিযোগ নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে।
গ্রামাঞ্চলের মানুষের মন জয়: গ্রামীণ ভোটারদের কাছে নিরপেক্ষতা ও উন্নয়ন তুলে ধরে তাদের সমর্থন পাওয়ার প্রচেষ্টা।
কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত: কেন্দ্রের বঞ্চনার বিষয়টি তুলে ধরে রাজ্যের জন্য রাজ্য সরকারের লড়াই দেখানোর মাধ্যমে সহানুভূতি আদায়।
সম্ভাব্য প্রভাব:
এই কৌশল সফল হলে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটারদের মধ্যে আরও প্রভাব বিস্তার করতে পারে, বিশেষত গ্রামীণ এলাকাগুলোতে। একইসঙ্গে বিরোধীরা কেন্দ্রের সাথে রাজ্যের তুলনায় দুর্বল অবস্থানে চলে যেতে পারে।