সবুজ ঝড়ের সুনামি, ৩০ বছর পর কুলতলিতে তৃণমূলের জয়

দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের এক শক্তিশালী বিজয়ের পালা শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ৩০ বছর পর ভুবনখালি সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নিরঙ্কুশ জয়…

TMC Wins Bhubankhali Co-operative Election in Kultali After 30 Years

short-samachar

দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের এক শক্তিশালী বিজয়ের পালা শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ৩০ বছর পর ভুবনখালি সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে। চুপড়িঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভুবনখালি সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় শাসক শিবিরের আনন্দের সীমা নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা রবিবার সবুজ আবির খেলায় মেতে ওঠেন, যার মধ্যে তাদের জয়ের আনন্দ প্রকাশ পায়।

   

এবারের নির্বাচনে মোট ৯টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী পক্ষের কেউই মনোনয়ন জমা দেননি, যার ফলে তৃণমূল কংগ্রেস এই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। এর ফলে, সমবায় সমিতির ৩০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার শাসক দলের হাতেই এল এই সমিতি।

তৃণমূলের জয়কে কেন্দ্র করে চুপড়িঝাড়া অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি সালাউদ্দিন ঢালি বলেন, “এখন রাজ্যে বিরোধী বলে আর কেউ নেই। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভই এখন আমাদের লক্ষ্য।” তিনি আরও বলেন, “এই সমবায় দীর্ঘদিন বামেদের দখলে ছিল। এতদিন ধরে ওরা দুর্নীতি করে জিতেছিল, কিন্তু এখন তাদের নির্বাচনে লড়াই করার সাহসও নেই।”

এই জয় শুধু কুলতলির জন্যই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস আগেই জয়ী হয়েছে। তবে রবিবার নন্দীগ্রামে সমবায় নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের জয় হয়েছে, যা কিছুটা হলেও রাজনৈতিক পটভূমিতে নতুন আলো ফেলেছে।

তৃণমূলের এই জয়ে বিরোধীরা তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে রাজ্যের শাসক দল কুলতলির এই জয়কে নিজেদের শক্তি হিসেবে দেখছে, এবং তাদের দাবি, বামেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণ ভোটে নিজেদের মত প্রকাশ করেছে।

কুলতলির এই ফলাফল রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিশেষ করে তৃণমূলের জয়কে মুকাবিলা করতে বিরোধী দলের অবস্থান এখন দুর্বল হতে শুরু করেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক ভবিষ্যত এখন আরও জটিল এবং উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

তবে, প্রশ্ন ওঠে, যদি কুলতলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত হয়ে থাকে, তবে অন্য অঞ্চলে কি বিরোধী দলগুলির শক্তি বাড়াতে পারবে? এক দিকে যেমন তৃণমূল কংগ্রেস বিজয়ের আনন্দে মগ্ন, তেমনি অন্য দিকে বিরোধী দলগুলির মুখে কিছুটা নিশ্চুপতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।