নির্বাচনের প্রচারপর্বে নানা ক্ষেত্রে বিরোধীদের থেকে এগিয়ে তৃণমূল। হেলিকপ্টার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। অর্থাৎ প্রচারে যেতে আকাশ পথেও জোড়-ফুলের রমরমা।
কমিশন সূত্রে খবর, গোটা নির্বাচনে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল প্রচার কর্মসূচিতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে ৫২১ বার। ৬৭৬ বার হেলিকপ্টার ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল রাজ্যের শাসক শিবির। তার মধ্যে অনুমতি পেয়েছে ৫২১ বার। ব্যবহার করা হয়েছে ২টি হেলিকপ্টার।
বাংলায় প্রচারে হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে বিজেপি-ও। রাজ্যে মোট ১২৪টি কর্মসূচিতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে পদ্ম বাহিনী।
কংগ্রেস প্রচারে মাত্র দু’বার হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে। সমসংখ্যকবার কপ্টারের ব্যবহরা করেছেন নির্দল প্রার্থী।
তবে, প্রচারে হেলিকপ্টার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বামেরা শূন্য।
সব রাজ্যকে হেলায় টেক্কা বাংলার, দেশে জিতলেও বঙ্গভূমে মোদীকে বলে বলে গোল মমতার!
কমিশন সূত্রে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রচার কর্মসূচির নিরিখেও গোটা দেশের মধ্যে প্রথমস্থান বাংলার। ১লা জুন ভোটসপ্তমীতেই শেষ হচ্ছে এবারের লোকসভা ভোট। প্রচার শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে সভা, মিছিল, রোড-শো মিলিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের তরফে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ২৭৬ আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ৯৫ হাজার আবেদনের অনুমতি দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র সহ দেশের অন্য কোনও রাজ্যে এই হারে রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়নি।
মাথা খুঁড়েও গরহাজির অভিষেক! এক পংক্তিতে মমতার ‘খুব’ প্রিয় তিন, কীসের বার্তা
প্শচিমবঙ্গের জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচার হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। সেখানে ১০,৬৮৮টি কর্মসূচি হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা।
বাংলায় প্রচারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চাপিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোট ঘোষণার পর এ রাজ্যে মোট ২০টি নির্বাচনী কর্মসূচিতে অংশ নেন মোদী। এর মধ্যে রয়েছে সভা ও রোড-শো। এক্ষেত্রে মোদীকে টপকে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট ঘোষণার পর থেকে ৯৩টি নির্বাচনী কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বাংলা জুড়ে। প্রায় প্রতিদিনই দিনে তিনটে করে জনসভা করেছেন। একই দিনে ঘুরেছেন একাধিক জেলায়।