রাজ্যের কোনও প্রকল্পের সুবিধা পাবে না বিজেপি কর্মীরা, শুভেন্দুর ডেরায় হুঙ্কার তৃণমূলের

নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের আর কোনও প্রকল্পের সুবিধা পাবে না হিংসায় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের পরিবার। শুভেন্দুর জেলায় গিয়ে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে রীতিমতো হুঁশিয়ারি তৃণমূলের।…

tmc

নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের আর কোনও প্রকল্পের সুবিধা পাবে না হিংসায় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের পরিবার। শুভেন্দুর জেলায় গিয়ে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে রীতিমতো হুঁশিয়ারি তৃণমূলের। লোকসভা ভোটের ফলাফল বের হতেই গোটা রাজ্যের মতোই হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুরের খেজুরি। হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার তৃণমূল সমর্থকেরা। শারীরীক নিগ্রহের শিকার হতে হয় তাঁদের পরিবারের সদস্যদের। এমনকি অনেকের বৃদ্ধ বাবা-মাকেও জখম করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বহু তৃণমূল কর্মীদের ঘর-বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। এমন আতঙ্কের আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমগ্র এলাকায় মোতায়েন রয়েছে আধা সামরিক বাহিনী। দিন-রাত গ্রামের অলিগলিতে টহলদারি চালাচ্ছেন তাঁরা।

   

এমন অবস্থায় শুক্রবার ওই এলাকা পরিদর্শনে যান কুনাল ঘোষের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। কুনাল ঘোষ ছাড়াও ওই দলে ছিলেন শিউলি সাহা, বীরবাহা হাঁসদা ও কাঁথির পরাজিত তৃণমূলের বিধায়ক পদপ্রার্থী উত্তম বারিক। এদিন বিকেলে খেজুরি পৌঁছে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তাঁদের নিরাপত্তা ও সমস্তরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয় প্রতিনিধি দলের তরফে।

তারপর দলীয় সভা মঞ্চ থেকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় তোপ দাগেন কুনাল ঘোষসহ প্রতিনিধি দলের অন্যান্যরা। কুনাল বলেন,”অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের তালিকা তৈরি করা হোক। তাঁরা যেন এবার থেকে কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা না পায়। দুটি তালিকা তৈরি করা হোক। একটা দেওয়া হোক পুলিশকে। আরেকটা শিউলি সাহাদের।” যাতে সেই তালিকা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিতে পারে শিউলি সাহারা। ভরা মঞ্চ থেকে এমন নির্দেশ দেন কুনাল ঘোষ। অন্যদিকে, গোটা ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। সরকারি প্রকল্প থেকে বিজেপি কর্মীদের বাদ দেওয়ার নির্দেশকে তৃণমূলের চরিত্রগত স্বভাব বলে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির।