দুলাল খুনে অভিযুক্ত নরেন্দ্রনাথকে বরখাস্ত তৃণমূলের

মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের (Dulal Sarkar death)খুনের ঘটনায় মূলচক্রী হিসাবে উঠে এসেছে দলের মালদহ শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির নাম। এই খুনের ঘটনায় তার নাম…

TMC suspended Narendranath tiwari for murder alligation of Counculler Dulal Sarkar in Maldah

মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের (Dulal Sarkar death)খুনের ঘটনায় মূলচক্রী হিসাবে উঠে এসেছে দলের মালদহ শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির নাম। এই খুনের ঘটনায় তার নাম উঠে আসার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব দুলাল সরকারের মৃত্যু নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সির তরফে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় এক সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছে, যাতে আনুষ্ঠানিকভাবে নরেন্দ্রনাথকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা করা হবে। 

দিল্লি জয়ে ভুয়ো ভোটার তালিকা তৈরি বিজেপির, প্রতিবাদ আপ প্রধানের

   

নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, যিনি মালদহ শহরের তৃণমূল সভাপতির পদে ছিলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি দুলাল সরকারের খুনে সম্পর্কিত থাকতে পারেন। মালদহ জেলা পুলিশের তদন্তে জানা যায়, দুলাল সরকারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নরেন্দ্রনাথের যোগসূত্র রয়েছে, তবে পুরো ঘটনা এখনও তদন্তাধীন। তদন্তে নরেন্দ্রনাথের নাম এলে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে এই বিষয়টি নিয়ে তীব্র অস্বস্তি তৈরি হয়। দলীয় স্তরে এ ধরনের অভিযোগ ওঠায় রাজ্য নেতৃত্ব এই ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এদিন, মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সি সাংবাদিকদের জানান, দলের শৃঙ্খলাপরিপালন এবং খুনের ঘটনায় কেউ যদি দলের প্রতি অবিশ্বাস্য আচরণ করেন বা দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করেন, তবে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি কে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দলের এই সিদ্ধান্তকে তারা কঠোরভাবে গ্রহণ করছেন, কারণ দলের নীতি এবং দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনুপ্রবেশ! বিএসএফকে কাঁটাতার বসাতে বাধা বিজিবির, সংঘাত অব্যাহত

তৃণমূল কংগ্রেসের মালদহ জেলা শাখার মতে, এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দলীয় পদ থেকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। দলীয় শৃঙ্খলা এবং দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্যই এই কঠোর পদক্ষেপ। যেহেতু নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠেছে এবং তদন্ত চলছে, তাই দলের নির্দেশে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অতীত! ছাব্বিশের লক্ষ্যে নয়া অস্ত্র তৃণমূলেও

এদিকে, মালদহ শহরের অনেক সাধারণ মানুষের মধ্যে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তারা এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখিত এবং দুলাল সরকারের খুনের নিন্দা করেছেন। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা মনে করছেন, দলের পক্ষে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত।

এছাড়াও, রাজ্য দলের শীর্ষ নেতারা জানান, দলের শৃঙ্খলা এবং নীতি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে দল একেবারে সহানুভূতিশীল নয়। দুলাল সরকারের খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলে, এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া