একটি স্কুলে স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরিকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের দুই জনপ্রতিনিধির মধ্যে দ্বন্দ্ব। হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee) ও চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের মধ্যে এই বচসা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে হুগলি জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে। ঘটনাটি সামনে আসার পর দলের অস্বস্তি বাড়তে শুরু করেছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।(Rachna Banerjee)
সম্প্রতি চুঁচুড়া বাণীমন্দির গার্লস স্কুলে আচমকা পরিদর্শনে যান সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অভিযোগ, স্কুলে স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি হচ্ছে অথচ প্রধান শিক্ষিকাকেই কিছু জানানো হয়নি। স্মার্ট ক্লাসরুম নির্মাণের পিছনে কার অনুমতি রয়েছে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়টি জানতে পেরে চটে যান সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।(Rachna Banerjee)
পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়, যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ কটাক্ষ করেন দলীয় বিধায়ক অসিত মজুমদারকে। তিনি বলেন, “ওঁর বয়স হয়েছে তো। মাথা কাজ করছে না। তাই কী করছেন, সেটা উনি নিজেও জানেন না।” এক জন সাংসদের মুখে এহেন মন্তব্য, তাও দলেরই প্রবীণ বিধায়ক সম্পর্কে — এই ঘটনা যথেষ্ট বিস্ময় তৈরি করেছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রবীণ বিধায়ক অসিত মজুমদার অবশ্য সাংসদের কটাক্ষের জবাবে পাল্টা কটাক্ষ করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, “আমি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। যিনি যা বলার বলছেন, তবে আমি বিষয়টি দলের যথাযথ জায়গায় জানাবো। যেখানে বলা উচিত, সেখানেই বলব।”
এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের অন্দরেই কি তবে ক্রমশ দ্বন্দ্ব বাড়ছে? স্মার্ট ক্লাসরুম নিয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে এভাবে(Rachna Banerjee) সাংসদ ও বিধায়কের মধ্যে মতভেদ প্রকাশ্যে আসায় দলের ভাবমূর্তি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। একদিকে যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের কাজে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার বার্তা দেন, সেখানে এই ধরণের মন্তব্য দলীয় শৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।
তৃণমূলের হুগলি জেলা নেতৃত্ব এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সাংসদ হিসেবে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা কম। অন্যদিকে অসিত মজুমদার বহুদিনের বিধায়ক ও সংগঠক। ফলে, দুই প্রজন্মের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির ফারাকও এই দ্বন্দ্বের মূলে থাকতে পারে। তবে দলের মুখ রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে এই ভুল বোঝাবুঝি মেটানো দরকার বলে মনে করছেন তৃণমূল সমর্থকরাও।(Rachna Banerjee)
সাংসদ ও বিধায়কের দ্বন্দ্ব যে একদিনেই মিটবে না, তা বলাই বাহুল্য। তবে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া এই বিতর্কে ইতি টানা কঠিন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বর্তমানে পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী প্রস্তুতির সময়েই যখন দলের সংহতির বার্তা দেওয়া হচ্ছে, তখন এই ধরণের বিতর্ক দলের অন্দরে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।(Rachna Banerjee)