শপথে গুজরাটের ‘জয়গান’ মমতা-প্রিয় বাংলার তৃণমূল সাংসদের

কথায় কথায় বিজেপি শাসিত গুজরাটের প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিতে ছাড়েন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অধীর চৌধুরীকে হারাতে মোদী-শাহ’র গুজরাট থেকেই প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে বহরমপুরের…

TMC MP from Berhampore Yusuf Pathan said Jai Gujarat during oath reading in Lok Sabha, লোকসভায় শপথবাক্য পাঠের সময় জয় গুজরাট বললেন বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান

কথায় কথায় বিজেপি শাসিত গুজরাটের প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিতে ছাড়েন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অধীর চৌধুরীকে হারাতে মোদী-শাহ’র গুজরাট থেকেই প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে বহরমপুরের প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় ঝড় বয়ে গিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। গুজরাটি ইউসুফকে ‘বহিরাগত’ বলে তোপ দাগে তৃণমূল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ভোটে অবশ্য মাত করেছেন ইউসুফ। তবে বিতর্ক এড়াতে পারলেন না। লোকসভার সদস্য হিসাবে শপথের পর এই তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে তোলপাড় পড়ল।

কী এমন বলেছেন সাংসদ ইউসুফ?

   

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তখন ভরা সংসদ। একে একে শপথ নিচ্ছেন বিভিন্ন দলের নির্বাচিত প্রার্থীরা। বাংলা থেকে জয়ী তৃণমূল সাংসদদের মধ্যে ইউসুফ পাঠানও শপথ নিলেন। তবে সব শেষে হইহই কাণ্ড। শপথবাক্য পাঠের পর ইউসুফের মুখে ‘জয় হিন্দ’, ‘জয় বাংলা’র পাশাপাশি শোনা গেল ‘জয় গুজরাত’ ধ্বনিও!

বাংলা থেকে নির্বাচিত গুজরাটের বাসিন্দা তৃণমূল সাংসদের মুখে ‘জয় গুজরাট’ ধ্বনিতেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। তবে, তৃণমূল এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। মুখ খোলেননি জোড়-ফুলের কোনও বড়-ছোট নেতা।

আগুন বাজারদর, মধ্যবিত্তের সুরাহায় সস্তায় সবজি বিক্রিতে বড় পদক্ষেপ নবান্নের

২৪য়ের লোকসভা নির্বাচনেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের। গুজরাটের ভাদোদরায় জন্ম বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদের। তাই কী নিজের জন্মভূমির প্রতি বাড়তি আবেগের বশেই ইউসুফ পাঠানের মুখে শোনা গেল ‘জয় গুজরাট ‘ধ্বনি? নাকি নেপথ্যে রয়েছে, বাংলায় গুজরাটি আধিপত্যের মানসিকতা! এই নিয়েই এখন রাজনীতিতে জোর চর্চা।

তবে, প্রচারের সময় ‘বহিরাগত’ ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন ইউসুফ। কটাক্ষের জবাবে টেনেছিলেন গুজরাটের বাসিন্দা প্রধানমন্ত্রী মোদীর বারাণসী তেকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি। বলেছিলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী আদতে গুজরাতের হলেও নির্বাচনে বারাণসী থেকে লড়াই করেন। এটা আসলে মানুষের ভালোবাসার ফল। আপনার মধ্যে যদি কাজ করার ইচ্ছা এবং ক্ষমতা থাকে তাহলে দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে ভোটে লড়তে পারেন। আর এটা তো (বহরমপুর) আমার ঘর। এটা আমি আগেও বলেছি। আমি বাংলায় থাকতে এসেছি।’