‘কপালটাই খারাপ’,বিধানসভার সিঁড়িতে বসে কপাল চাপড়াচ্ছেন সায়ন্তিকা

বিধানসভায় নজির বিহীন ছবি।  বার বার শপথ গ্রহণ পিছিয়ে যাওয়ায়  বিধানসভায় আক্ষেপ করছেন সায়ন্তিকা, তাঁর পাশে বসে আছেন নব নির্বাচিত বিধায়ক রায়াত হোসেন। রাজভবন-বিধানসভার টানাপোড়েনে…

বিধানসভায় নজির বিহীন ছবি।  বার বার শপথ গ্রহণ পিছিয়ে যাওয়ায়  বিধানসভায় আক্ষেপ করছেন সায়ন্তিকা, তাঁর পাশে বসে আছেন নব নির্বাচিত বিধায়ক রায়াত হোসেন। রাজভবন-বিধানসভার টানাপোড়েনে আটকে রয়েছে উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল বিধায়কদের শপথ। কবে হবে শপথ তা নিয়ে বাড়ছে অনিশ্চয়তা। সেই কারণে বিধানসভার সিঁড়িতে বসে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে আক্ষেপ জানাতে দেখা নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক সায়ান্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রায়াত হোসেনকে।

আর এই বিতর্কের মধ্যেই দিল্লির উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।  যারফলে শপথগ্রহণ নিয়ে অচলাবস্থা আরও বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।   

   

সম্প্রতি বরাহনগর ও ভগবানগোলা উপ নির্বাচনে জয়ী হন শাসকদলের এই দুই প্রার্থী। তারপরেই শপথগ্রহণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয় রাজভবন-বিধানসভা টানাপোড়েন। রাজ্যপালের দফতর সূত্রে জানানো হয়, শপথ নিতে হলে দুই বিধায়ককেই রাজভবনে যেতে হবে। সেখানে গিয়েই শপথ নিতে হবে। কিন্তু এই প্রস্তাবেই বেঁকে বসে রাজ্য নেতৃত্ব। শাসক দলের তরফে পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হয় রাজভবন নয়, স্পিকার বিমান বন্দ্যেপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে বিধানসভাতেই শপথ নেবেন নির্বাচিত দুই বিধায়ক।

কলকাতায় এক ধাক্কায় ২৫০০ টাকা অবধি কমল সোনার দাম, ১০০০ টাকা সস্তা রুপো

ফলে দুই পক্ষের রাজনৈতিক টানাপোড়েনে বিপাকে পড়তে হয় বরাহনগর ও মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বিধায়ককে। মঙ্গলবারই এই প্রসঙ্গে তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন,বিধানসভাই তাঁদের কর্মক্ষেত্র। তাই সেখানেই শপথ নিতে চান তাঁরা। রাজভবনে গিয়ে শপথ নিতে বাধ্য নন তাঁরা। তারপর গতকালই বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তাঁরা। এই জটিলতা মোকাবিলায় বিমান বন্দ্যেপাধ্যায়ের থেকে নব নির্বাচিত বিধায়কেরা কিছু পরামর্শ নেন বলে বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।

তবে অচলাবস্থা কাটাতে বিধানসভার তরফে রাজভবনকে মঙ্গলবার চিঠি পাঠিয়ে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, বুধবার শপথ বিধানসভাতেই হবে, কিন্তু রাজভবন চাইলে তাঁদের প্রতিনিধি বিধানসভায় আসবেন। তাঁদের উপস্থিতিতে শপথ বাক্য পাঠ করবেন নতুন বিধায়কেরা। যদিও সেই প্রস্তাবে এখনও পর্যন্ত ‘টু’ শব্দটি করেনি রাজভবন। তাঁদের এই ‘নীরবতা’ কিন্তু নিঃ সন্দেহে চিন্তায় ফেলছে রাজ্যের শাসক দলকে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বুধবার শপথ জট জটিলতা প্রসঙ্গে বিমান বন্দ্যেপাধ্যায় বলেন, ”সংবিধান মেনেই শপথগ্রহণ হবে। মাঠে-ঘাটে যেকোনও জায়গায় শপথ নেওয়া যায় না।”