বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Jibankrishna Saha) দলের কোনো সাংগঠনিক কার্যকলাপে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার বড়ঞা ব্লকের ডাকবাংলা কৃষক বাজার চত্বরে আয়োজিত তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে এই বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনেন তৃণমূল নেতা মাহে আলম।
বিজয়া সম্মেলনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ ও প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। তবে এই সম্মেলনীতে বড়ঞা বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং স্থানীয় ব্লক সভাপতি অনুপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীকোন্দলকে আবারও প্রকাশ্যে এনে ফেলেছে।
মাহে আলম এদিন মঞ্চ থেকেই বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে উদ্দেশ্য করে জানান, রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সরাসরি নির্দেশ রয়েছে যে, বড়ঞার এই বিধায়ককে দলের কোনো সাংগঠনিক কাজে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। মাহে আলমের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান রবিউল আলম চৌধুরীর কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘‘জীবনকৃষ্ণ সাহাকে সাংগঠনিক কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এর কারণ সম্পর্কে কিছু জানি না, তাই এই মঞ্চে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’ গোষ্ঠীকোন্দল সম্পর্কিত বিষয়টিকে তিনি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
এই ঘটনা থেকে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, কেন রাজ্য নেতৃত্ব বড়ঞার বিধায়ককে এভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছে। এর পেছনে কি রয়েছে গোপন মতভেদ, নাকি বড়ঞা অঞ্চলে গোষ্ঠীকোন্দল এতটাই প্রকট যে তাকে দমাতে এই কঠোর ব্যবস্থা? আগামী নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে এই পরিস্থিতি তৃণমূলের জন্য বড়ঞা অঞ্চলে কতটা প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। স্থানীয় মানুষ এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যেও চলছে চর্চা।