একটা ফোন মিলেছে পুকুরের পাঁক থেকে। আরেকটা ফোন পেতে মরিয়া CBI গোয়েন্দারা। দুটো ফোনই বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন বড়ঞার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। শুক্রবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বিধায়কের। বাড়ি থেকে মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC scam) বিপুল নথি। অভিযোগ, কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িত বিধায়ক। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃ়ণমূল নেতারা নীরব। রাজ্য তৃণমূলও চুপ।
প্রায় ৩২ ঘন্টা ধরে খোঁজ চলার পর একটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে রবিবার সকালে। দ্বিতীয় ফোন খোঁজার জন্য সাত জনের একটি দল নামিয়েছে সিবিআই। বিধায়ক কী তথ্য গোপন করতে চেয়েছিলেন প্রশ্ন উঠছে। তার ফোনে কার প্রাণ ভোমরা লুকিয়ে তাও জানতে মরিয়া সিবিআই। জানা যাচ্ছে টানা জিজ্ঞাসাবাদে তৃণমূল বিধায়ক হাউ হাউ করে কাঁদছেন।
সিবিআই ঘেরাটোপে অসহায় তৃ়ণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তাকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করায় সিবিআই। সবই করে দেখান বিধায়ক। শুক্রবার দুপুরে সিবিআইয়ের অফিসারদের হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরে ফেলেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সেই ঘটনার পর রবিবার পুকুর ছেঁচে একটি মোবাইলের হদিশ মিলেছে। অপরটি পেতে কাদা ঘাঁটছে সিবিআই।
পুকুর থেকে ফোন পেতে স্থানীয় শ্রমিক এবং মৎসজীবীদের কাজে লাগানো হয়েছে। দ্বিতীয় ফোন পাওয়ার পরেই গ্রেফতার হবে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।