গত ৬ জানুয়ারি তৃণমূল সদস্য অপর্ণা সিজারের মাধ্যমে কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার পর কোমায় চলে যান। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পর চুঁচুড়ার নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, তাঁর ৮০ শতাংশ ব্রেন ডেড হয়েছে এবং চিকিৎসায় সাড়া মিলছে না। খরচ বেড়ে যাওয়ায় পরিবার তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যায়। শুক্রবার দলের নেতাদের পরামর্শে নিউরো চিকিৎসার জন্য বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চরম হয়রানির শিকার হন রোগী ও তাঁর পরিবার।
অপর্ণার ভাই প্রসেনজিৎ মাজি জানান, বিধায়ক অসিত মজুমদার বাঙ্গুরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে একটি ফোন নম্বর দেন। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ওএসডি কুণাল দাসের নম্বরও দেওয়া হয়। ভর্তির আশ্বাস থাকলেও হাসপাতালে গিয়ে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশের সাহায্যে আউটডোরে দেখানো হয়। চিকিৎসক কিছু ওষুধ ও পরীক্ষার পরামর্শ দেন। সারাদিন ধকলের পর সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ততক্ষণে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে অপর্ণার অবস্থা আরও খারাপ হয়। বর্তমানে তিনি আইসিইউ-তে।
হুগলির পোলবার সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য অপর্ণার অবস্থা দেখতে বিধায়ক অসিত মজুমদার ও সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন। সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও কলকাতায় পরিবারকে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়। অসিত জানান, মন্ত্রীর ওএসডির সঙ্গে কথা হয়েছিল। তিনি একটি নম্বর দিয়ে বাঙ্গুরে পাঠানোর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “ভর্তি করাতে ব্যর্থ হয়েছি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিউরো বিভাগে ভর্তির চেষ্টা করছি।”
সারাদিনের হয়রানি ও যাতায়াতে অপর্ণার শারীরিক অবস্থা আরও সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েছে। পরিবারের অভিযোগ, দলীয় নেতাদের আশ্বাস সত্ত্বেও সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি।