Sangyog Yatra: তৃণমূলের সাংগঠনিক দিক এখন পুরোটাই দেখছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সুব্রত বক্সির পরে গোটা রাজ্যপাট অভিষেকের হাতে তুলে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ এর নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলের জয়ের পিছনে অনেকেই মনে করেছিলেন অভিষেকের স্ট্র্যাটেজিকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন৷ মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তসূরী নিয়ে আর কোনও প্রশ্ন থাকার কথাও ছিল না৷ কিন্তু মঙ্গলবার কোচবিহারে যে ঘটনা ঘটল তাতে বিপদ বাড়ল তৃণমূল৷
কোচবিহার থেকেই তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির সুচনা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিপদ ঘটল প্রথম দিনেই ব্যালট বাক্স নিয়ে লড়াই শুরু হল। ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেললেন তৃণমূলের কর্মীরাই। তাহলে কী এটাই হতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে৷ যদিও ভোট প্রসঙ্গে অভিষেক জানিয়েছেন, যারা ভোট ভেস্তে দিয়েছেন, তাঁরা মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন৷
নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরু পাচার ও বালি পাচার, সবকিছুতেই জর্জরিত রাজ্যের শাসক দল। সেটাকেই প্রতিহত করে সধারণ মানুষের অভিযোগ মেটাতে ময়দানে নেমেছেন অভিষেক। কিন্তু সমস্যা হল উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করা। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বঙ্গ রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব থাকলেও সম গুরুত্ব এখনও পাননি অভিষেক৷ সেকারণেই মঙ্গলবার এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল৷ যা শাসক দলকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিল৷
অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ জুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বিজেপিকে সহজেই জায়গা করে দেয়। একই পরিস্থিতি কোচবিহারে। যত নেতা তত গোষ্ঠী। সেটাকে হাতিয়ার করে বিধানসভাতেও জেলায় ৯ টি আসনের মধ্যে ৬ টি আসন পায় বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই সহজ হবে না। এটা ভেবেও ময়দানে নেমেছেন অভিষেক। কিন্তু অভিষেকের এই সংযোগ যাত্রা ও তার আয়োজন তৃণমূলকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেবে না তো? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।