নাস্তানাবুদ হবেন রাজ্যপাল? দিল্লির হোটেলে আনন্দ-ভিডিও ফাঁসের হুঁশিয়ারি কুনালের

শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। তবে আগামী সোমবার বেলা তিনটের মধ্যে তৃণমূলের দুই নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ না হলে ‘বেকায়দায়’ পড়বেন রাজ্যপাল। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল…

শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। তবে আগামী সোমবার বেলা তিনটের মধ্যে তৃণমূলের দুই নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ না হলে ‘বেকায়দায়’ পড়বেন রাজ্যপাল। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,” রাজ্যপাল সম্মানীয় ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল, কিন্তু তিনি যেভাবে রাজনৈতিক অভীপ্সা নিয়ে কাজ করছেন, তা কাম্য নয়। উপনির্বাচনে জয়ী দুই প্রার্থীর প্রতি আমাদের দলের পূর্ণ সমর্থন এবং সহমর্মিতা রয়েছে।” পাশাপাশি রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে একরকম হুঁশিয়ারি দিয়েই তিনি বলেন, “যদি আগামী সোমবার বিকেল তিনটের মধ্যে উপনির্বাচনে জয়ী দুই সাংসদের শপথ গ্রহণ না হয়, তাহলে উনি দিল্লির পাঁচ তারা হোটেলে কি করেছিলেন, সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আনা হবে।”

এই মন্তব্যের জেরেই ঘটনাটিকে নিয়ে আরও বেড়েছে জলঘোলা। মনে করা হচ্ছে, শাসকদলের তরফে এই ভিডিও প্রকাশের হুমকি আগামীদিনে রাজ্য-রাজভবন সংঘাতকে আরও তীব্রতর করে তুলবে।

   

ঘটনাটি ২০২৩ সালের, দিল্লিতে একটি পাঁচতারা হোটেলে এক নৃত্যশিল্পীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। তারপরই ‘নির্যাতিতা’ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রের জানা যায়, নৃত্যশিল্পীর অভিযোগের ভিত্তিতেই অনুসন্ধান চালায় কলকাতা পুলিশে একটি দল। সেই মামলার রিপোর্ট অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা পড়ে নবান্নে। শুধু দিল্লিই নয়, কলকাতাতে রাজভবনে কর্মরত এক মহিলা কর্মচারীও তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে।

তার ভিত্তিতে হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর দায়ের হয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। এবার সেই সমস্ত মামলাই প্রকাশ্যে তুলে ধরে রাজভবনের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে শাসকদল? এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এদিকে গতকাল  শুক্রবারও বিআর আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্ণায় বসেছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যেপাধ্যায় ও রায়াত হোসেন। এবার উপনির্বাচনে বরাহনগর কেন্দ্র থেকে শাসক দলের প্রার্থী হয়ে জয়ী হন সায়ন্তিকা ও ভগবানগোলা থেকে জয়ী হন রায়াত হোসেন। এদিন ধর্ণায় সায়ান্তিকাদের সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও রেজিনগরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। যতদিন না পর্যন্ত শপথগ্রহণ হচ্ছে ততদিন তাঁরা ধর্ণা চালিয়ে যাবেন বলেই জানা গিয়েছে।