প্রতিবাদে জ্বালানো যাবে না মোমবাতি, মার খেলেন তৃণমূল নেতা!

আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) প্রতিবাদে সরব হয়ে পথে নেমেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা (TMC)। স্থানীয় মন্দিরে মোমবাতি জ্বালানোর প্রতিবাদ (RG Kar Protest) করতে গিয়েই…

আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) প্রতিবাদে সরব হয়ে পথে নেমেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা (TMC)। স্থানীয় মন্দিরে মোমবাতি জ্বালানোর প্রতিবাদ (RG Kar Protest) করতে গিয়েই ৩০-৩৫ জনের হাতে মার খেলেন তিনি। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দফায় দফায় রাস্তায় নেমেছে মানুষ। এই আন্দোলনে রাজনীতির রং মিশতেই সাধারণ মানুষের ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছিল বারবার। মহানগরের নাগরিকরাই সচেতনভাবে আন্দোলনের সঙ্গে মিশতে দেয়নি রাজনীতির (Politics) রংকে।

তবুও, সাধারণ মানুষের সঙ্গে বারবার পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন রাজনীতিবিদরা। আন্দোলনে গিয়ে ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাদের। এবারও দেখা গেল একই চিত্র।

   

জানা গেছে ইছাপুর সংলগ্ন এলাকায় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করতে পথে নেমেছিলেন গারুলিয়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC) রবি সাহা। ইছাপুর লেনিননগর এলাকায় এই মিছিল হয়। তাকে ৩০-৩৫ জন মিলে মারধর করে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।

প্রতিবাদ মিছিলের শেষে নির্যাতিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি মন্দিরের বেদীতে মোমবাতি জ্বালাতে গেছিলেন একজন। সেই নিয়েই বাধে বচসা। স্থানীয় কাউন্সিলর রবি সাহার সঙ্গে বচসা বাধে এক ব্যক্তির। তারপরই মার খেতে হয় তাঁকে।

আক্রান্ত কাউন্সিলর জানিয়েছেন যে সিপিআইএম-এর (CPIM) কিছুজন মিলেই এই কাজ করেছে। মন্দির, মসজিদ, গির্জা প্রার্থনা করার স্থান। সেখানে এই ধরণের প্রতিবাদী কর্মসূচির উদ্দেশ্যে মোমবাতি জ্বালানোটাকে ভালো চোখে দেখেননি তিনি। এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ।