এবার পুলিশের জালে শিলিগুড়ির গৌতম, তিনি কঠোর প্রশাসক বোঝাতে মরিয়া মমতা

জমি দখল নিয়ে সম্প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জেরেই এই বিষয়ে বর্তমানে অত্যন্ত সক্রিয় রাজ্য প্রশাসন। সেই নির্দেশ মেনেই শুক্রবার শিলিগুড়ির তৃণমূল…

কড়া প্রশাসক মমতা ব্যানার্জী

জমি দখল নিয়ে সম্প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জেরেই এই বিষয়ে বর্তমানে অত্যন্ত সক্রিয় রাজ্য প্রশাসন। সেই নির্দেশ মেনেই শুক্রবার শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা গৌতম দেবের ঘনিষ্ট গৌতম গোস্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদিন জমি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ওই নেতাকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করতে দিল্লিতে দল পাঠিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ পুলিশ কর্তারা। গৌতম গোস্বামী ধৃত তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিকেরও ঘনিষ্ট ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

আনন্দের মুখে ঝামা, বড় ইচ্ছেপূরণ সায়ন্তিকা-রেয়াতের

   

দীর্ঘদিন ধরেই গৌতম দেব ঘনিষ্ট এই নেতা শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এসজেডিএ-র বোর্ডের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন। কিছুদিন আগেই দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেবাশিস গ্রেফতার হওয়ার পরেই শহর ছেড়েছিলেন গৌতম। তখন থেকেই তাঁর খোঁজ করা হচ্ছিল। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, শিলিগুড়ি থেকে প্রথমে কলকাতা গিয়েছিলেন গৌতম। পরে সেখান থেকে যান হায়দ্রাবাদে। সেখান থেকে বেঙ্গালুরু ও পরে দিল্লি। সেই খবর পেয়েই শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ দিল্লি থেকে গৌতমকে গ্রেফতার করে।

 দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ অসম্পূর্ণ, মানলেন মমতাও, জানালেন কবে গড়াবে রথের চাকা

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়েছে উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এদের গ্রেফতার করে চোখে ধুলো দেওয়ার কাজ হচ্ছে। এদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে বড় নেতারা পার পেতে চাইছেন।” অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, ” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সব কিছু হচ্ছে। তিনি যা নির্দেশ দেবে তাই হবে।” তবে এই নেতাদের জমি কাণ্ডে যুক্ত থাকার ঘটনা তিনি জানতেন না বলে জানিয়েছেন।

রথযাত্রায় বাম্পার সুযোগ, ভারতীয় রেলের জোড়া স্পেশাল ট্রেন! কোথা থেকে কোথায় যাবে?

এসজেডিএ নিয়ে বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই অসন্তোষ সামনে এসেছিল। লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে দলের পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় দলের প্রার্থী বাছাইকে দায়ী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন সৌরভ চক্রবর্তী। তাররপরেই তাঁকে এসজেডিএর চেয়ারম্যানের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, জমি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত নেতাদের দলীয় সংগঠন থেকে সরাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এসজেডিএ-র মধ্যেও প্রশাসনিক রদবদলের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গে দলীয় সংগঠনে ‘ঝাঁকি’ দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।