দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো এমন প্রবাদে আস্থা রেখে বিদ্রোহী বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে (Humayun Kabir) দল থেকে তাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগগুলি পর্যালোচনা করে রিপোর্ট যাবে মমতার কাছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের অবস্থানের উপর বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। তিনি আর কোন কোন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন সেসব গোপনে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ ও মালদা এই দুই জেলার এক ডজন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন হুমায়ুন কবির।
ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নতুন দল গঠন করে ভোট লড়াই করবেন। কমপক্ষে ৫০টি আসনে তিনি প্রার্থী দিতে চান। তার এই ঘোষণার পরেই তৃণমূলের অন্দরে ভূমিকম্প! কারণ, সংখ্যালঘু মুসলিম অধ্যুষিত জেলা মুর্শিদাবাদ, মালদায় হুমায়ুন কবিরের দল কতটা ভোট কাটবে তার বিশ্লেষণ শুরু হয়। হুমায়ুন কবিরের নজরে আছে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কয়েকটি আসন। উত্তরবঙ্গের এই দুই জেলাতেও মুসলিম ভোটারদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
হুমায়ুনের হুঙ্কারে ভাগীরথী-গঙ্গার দুপারের রাজনীতিতে তীব্র আলোড়িত। বিধায়ক হুমায়ুন কবির এর আগে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও প্রকাশ্যে নিজ দলের নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ দেখিয়ে নির্দল প্রার্থী দিয়েছিলেন। মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক বিধায়ককে তার সঙ্গে দেখা গেছিল। পঞ্চায়েত ভোটে হুমায়ুন অনুগামীদের অনেকে জয়ী হন।পরে মমতার ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।
গত লোকসভা নির্বাচনের সময় বহরমপুর কেন্দ্রে ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে গুজরাট থেকে এনে প্রার্থী করার পর ক্ষোভ উপরে হুমায়ুন কবির বলেছিলেন নতুন দল গড়বেন। এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই অবস্থান ফের ঘোষণা করে আরো বিতর্কে তিনি।