ফের একুশের আতঙ্ক, বাংলায় আবারও ভোট পরবর্তী হিংসা! বিজেপি নেতাকে ফেলে মারধরের অভিযোগ

ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরে। কাঁথি লোকসভার ভোটের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতে বিজেপি নেতাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, পাশের একটি জঙ্গলে ফেলে দিয়ে পালাল দুষ্কৃতিকারীরা। পুরো ঘটনাটি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

Advertisements

অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরে বিজেপির যুব মোর্চার কার্যকর্তা হলেন মিলন বেরা। লোকসভার ভোটের সময় পটাশপুরে আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি হয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল মিলন। ভোট মিটতে না মিটতে তাঁকেই রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ করা হচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এরপর পাশের একটি ফাঁকা জঙ্গলে জখম মিলনকে ফেলে দিয়ে পালায় দুষ্কৃতিকারীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পেয়ে ওই বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন।

রেমালের দাপুটে ইনিংসে বেসামাল বাংলা, দুর্যোগ থেকে নিস্তার কবে?

আহত বিজেপি নেতাকে দেখতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছুটে যান বিজেপি জেলা নেতারা। অবস্থায় অবনতি হলে ওই বিজেপি নেতা মিলন বেরাকে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

পটাশপুর বিজেপি নেতা তাপস কুমার মাঝি বলেন, ‘রবিবার বিকালে বিজেপি যুব মোর্চার কার্যকর্তা মিলন বেরা নামে এক যুবককে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বেধড়ক মারধর করে পাশের একটি জঙ্গলে ফেলে দিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিকারীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে পেরে তুলে নিয়ে আসে। স্থানীয় একটি গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইনের দ্বারস্থ হব।’

Advertisements

 

যদিও এই সমন্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কাঁথি সংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ কান্তি পণ্ডা বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয় দল। বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের কারণে এমন ঘটনা। পুলিশ তদন্ত করলেও প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে।’

পটাশপুর থানায় এক পুলিশ আধিকারীকের কথায়, ‘এখনও পর্ষন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।’