বিজেপির যুব মোর্চার কার্যকর্তার কান কেটে নেওয়া অভিযোগ! অভিযুক্ত তৃণমূল

ভগবানপুরঃ ফের উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর (Bhagwanpur)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে এক বিজেপি কার্যকর্তাকে রাস্তায় বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের…

বিজেপির যুব মোর্চার কার্যকর্তার কান কেটে নেওয়া অভিযোগ! অভিযুক্ত তৃণমূল

ভগবানপুরঃ ফের উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর (Bhagwanpur)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে এক বিজেপি কার্যকর্তাকে রাস্তায় বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় বিজেপি (BJP) কার্যকর্তার কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর বিধানসভার ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইলাশপুর গ্রামে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাজার থেকে বিজেপি ভগবানপুর ১ ব্লকের যুব মোর্চার নেতৃত্ব সুব্রত বার্গ বাড়ি ফিরছিল। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে হাড়মাশানি গ্রামের হরিজন পল্লী’তে সুব্রত বার্গের রাস্তা আটকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি নেতাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় কান কেটে অবধি নেওয়া হয়। স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থক থেকে নেতৃত্বরা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারপরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে চম্পট দেয়। রক্তাক্ত যুব মোর্চার নেতৃত্ব সুব্রত বার্গ’কে উদ্ধার করে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

 

বিজেপি নেতা তথা মণ্ডল সভাপতি দেবব্রত কর বলেন, “রাতে বিজেপি কার্যকর্তা ও কর্মী সমর্থকেরা বাড়ি ফিরছিল। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছে। এই পরিবার আগে ঘর ছাড়া ছিল। অন্যান্য কর্মী সমর্থকরা ছুটে গেলে যেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এ নিয়ে ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।”

Advertisements

ঘটনা প্রসঙ্গে ভগবানপুর থানায় ওসি সৌমেন গুহ বলেন, ” এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগের পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।”

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনোভাবেই যুক্ত নয়। বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এই ঘটনা। নিজেদের মধ্যে মদ্যপ অবস্থায় গন্ডগোলের কারণে এমন ঘটনা। পুলিশ তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে। প্রসঙ্গত, বিজেপি করার অপরাধে দীর্ঘদিন ধরে ওই দম্পতি ঘর ছাড়া ছিল। পুলিশ ও বিজেপি নেতৃত্ব দিয়ে সহযোগিতায় গত কয়েকদিন আগে আবার বাড়ি ফেরে।