এই সপ্তাহেই কালবৈশাখীর স্বাদ পেতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। ঝাড়খণ্ডে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। তাছাড়া বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প আসছে রাজ্যে। বঙ্গোপসাগরের উচ্চচাপ বলয় জলীয় বাষ্পকে বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে পাঠিয়ে দেয়। এর ফলে মালভূমিতে তা গরম বাতাসের সংস্পর্শে মেঘ তৈরি করে। তার জেরেই হয় ঝড়বৃষ্টি। বর্তমানে এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, যে সব জেলায় গরম বেশি সেখানে আগে হবে ঝড়বৃষ্টি। এর মধ্যে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে বুধবার থেকেই ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পাশাপাশি বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২০ থেকে ২২ এপ্রিলের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে প্রথম কালবৈশাখী হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে এই সময় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের ৫ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। এছাড়া উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলি- উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।
এখন দিনের তাপমাত্রা কমের দিকে থাকলেও বাড়বে রাতের তাপমাত্রা। আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮৬ শতাংশ, ন্যূনতম ৬৩ শতাংশ। এ বছর এখনও পর্যন্ত ২ টো নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে কোনওটাই পশ্চিমবঙ্গে আসেনি। ছোটনাগপুর মালভূমিতে এ বছর কোনও নিম্নচাপ তৈরি হয়নি। কালবৈশাখীর অন্যতম উৎস ওই অঞ্চলেই। এবার সেখানেই তৈরি হল কালবৈশাখী।