বাংলার গ্রাম দখলের (Panchayat Election) লড়াইয়ে জেলায় জেলায় বলি বহু প্রাণ। আজ এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্য জুড়ে শাসক-বিরোধী মিলিয়ে মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত হিংসায় বাংলায় বলির হিসাব ৩৬ জনের মৃত্যুতে এসে দাঁড়িয়েছে। এই সন্ত্রাসপূর্ণ পরিস্থিতিতে কার্যত নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তবে একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হয়েছে রাজ্যে মৃত্যুর খবর তিনটি শোনা গিয়েছে তার বেশি নয়।
আজ সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের মৃত্যু মিছিল। ভোট গ্রহণ পর্ব থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের যা মনোনয়ন পর্বকালীন সময়ের সঙ্গে হিসেব করলে দাঁড়ায় ৩৬ জন। তবে এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বেশ কয়েকটি মন্তব্য করেন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, তিনটে চারটে জেলাতেই শুধু ঝামেলা হয়েছে। তার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা উত্তর দিনাজপুরে তেমন কিছু হয়নি শুধু দিনহাটাতে অল্প কিছু হয়েছে, আর মুর্শিদাবাদে।
আজ গোটা দিন জুড়ে কত জন খুন হয়েছে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেন, আজ সারা দিনে খুন হয়েছে তিনজন। সন্ত্রাস ঠেকানোর দায়িত্ব আমার না যারা জেলা স্তরে কাজ করছে তাদের দায়িত্ব। আমরা তো সবই ব্যবস্থা করেছি তারপরে তো গ্যারান্টি দিতে পারি না কে কোথায় কাকে গুলি করবে কাকে মেরে দেবে?
রাহুল সিনহার এই বক্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা। সকাল থেকে যেখানে বলি হয়েছে ২০ জন সেখানে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি মাত্র তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার চোখে কালো পট্টি বেঁধেছিলেন সারাদিন। এত মানুষের হাহাকার, আতঙ্ক, মৃত্যু এসব কি তার চোখে পড়ল না? এমনই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের।