মেদিনীপুর থেকে সরানোর মাস্টারমাইন্ড তারাই, নাম না করে ইঙ্গিত দিলীপের 

লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে নিজেকে সামলাতে পারছেন না বর্ধমান-দু্র্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। জমিয়ে রেখেছিলেন নিজের ভিতরে অনেক ক্ষোভ। এবার ব্যার্থতার পর সেই ক্ষোভ উগরে…

dilip ghosh

লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে নিজেকে সামলাতে পারছেন না বর্ধমান-দু্র্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। জমিয়ে রেখেছিলেন নিজের ভিতরে অনেক ক্ষোভ। এবার ব্যার্থতার পর সেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছেন গত ৪ বছরে তাঁকে দলের কোনও বৈঠকে ডাকা হয়নি। তাঁর মতামতও নেওয়া হয়নি কোনও কাজে। গত ১ বছর ধরে তিনি টাকা পয়সা সব কিছু নিয়ে মেদিনীপুরের জন্য কাজ করেছিলেন। তারপরেও তাঁকে মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দু্র্গাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করার পিছনে রয়েছে দলীয় ত্রুটি।

 

   

তবে এর আগে দিলীপ ঘোষ হারের জন্য কাঠিবাজির অভিযোগ করেছিলেন। এবার বাংলায় বিজেপির নিম্ন মানের ফলাফলের জন্য দলীয় একাংশের দিকে আঙুল তুললেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি নিজেই। তিনি বলেন আমি মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র ছাড়তে রাজি হননি। কারণ পর পর ২ বার আমি এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলাম। যার কারণে  বঙ্গ বিেজপির ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছিল।

সূত্রের খবর থেকে জানা যায় একপ্রচার চাপ তৈরি করেই দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই  সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে হার মানতে হয় দিলীপ ঘোষকে। রাজনীতির এই হার স্বীকার করে নিলেও দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।

তিনি আরও বলেন গত ১ বছর ধরে সম্পূর্ণ সময় দিয়েছিলাম মেদিনীপুরকে। তারপরেও তাঁকে সেখানে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । তিনি বলেছেন, তাঁর হারের জন্য সব মিথ্যে যুক্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে জানানো হয়েছে তিনি নাকি মেদিনীপুরে দাঁড়ালে হেরে যেতেন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল ওখানে নাকি কুড়মি তাঁর বিরুদ্ধে। অথচ যেখানে কুড়মি ভোট বেশি বিজেপির ঝুলিতে পড়েছে ।

পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করে জানান তাকে ঐ কেন্দ্র ছাড়ানোর জন্যই কুড়মিদের খ্যপানো হয়েছিল। তবে এসব কেন করা হয়েছে এগুলো ভাবতে হবে। কিছু তো একটা ব্যাপার আছে। নাহলে যারা পার্টির প্রতিষ্ঠিত নেতা তাদের কি হারানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল? লোকে হারা আসন জেতার জন্য প্ল্যানিং করে। এতো দেখছি জেতা আসন হারাবার জন্য প্ল্যানিং হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’

শেষে নাম না করে শুভেন্দু-সুকান্তর দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, লোকসভায় বিজেপি ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ২১ এর বিধানসভায় সেটা নেমে ৩৮ শতাংশ হয়েছে। এবার লোকসভা তে ৪১ শতাংশ তো পার হওয়া উচিত ছিল। সেটা কমে গেল। আবার ৩৮ এ ফিরে এলো। এটাই তো পর্যালোচনার বিষয়। ভোট কমল কেন? এতো নেতা এসে গেছে। বলছে সংগঠন বেড়েছে। এবার তো প্রধানমন্ত্রী সব জায়গায় গেছেন। এতো সাংসদ বিধায়ক ছিল। তাহলে ভোট কমল কেন?  ভাবুন আপনারাই।