সরকারি পাম্পিং স্টেশনে চুরি, মেমারি পুলিশের হাতে আটক ৪

মেমারি (Memari) থানার পুলিশ (police) সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমান জেলার পাম্প হাউসে একাধিক চুরির (theft) ঘটনায় বড় সাফল্য অর্জন করেছে। গত দেড় মাসে জেলার বিভিন্ন পিএইচই…

Chandni Chowk French Ambassador

মেমারি (Memari) থানার পুলিশ (police) সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমান জেলার পাম্প হাউসে একাধিক চুরির (theft) ঘটনায় বড় সাফল্য অর্জন করেছে। গত দেড় মাসে জেলার বিভিন্ন পিএইচই পাম্প হাউসে যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা ঘটছিল, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এই চুরির পেছনে ছিল একটি সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতী গ্যাং, যারা সরকারি (government) পাম্প হাউসগুলির (pumping station) মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি করে তা বিক্রি করত।

চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু হওয়ার পর, মেমারি থানার পুলিশ একটি বিশেষ টিম গঠন করে এবং পুলিশকে এই চক্রের সন্ধানে তৎপর করা হয়। তদন্তে দ্রুত চুরি হওয়া পাম্পিং স্টেশনগুলো থেকে তামার তার এবং অন্যান্য মূল্যবান যন্ত্রাংশের চুরির পেছনে একটি গ্যাংয়ের হাত রয়েছে বলে নিশ্চিত হয়ে পুলিশ (police) তাদের গ্রেপ্তার (arrest) করার জন্য অভিযান শুরু করে। অবশেষে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ ইছাপুর এলাকা থেকে প্রথম আফজল শেখ নামে এক দুষ্কৃতীকে আটক করতে সক্ষম হয়। আফজলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ আরও তিনজনের নাম জানতে পারে এবং মেমারি এবং আশপাশের এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের মধ্যে সজল মণ্ডল, সোমনাথ বসু এবং তফিজুল শেখ রয়েছে।

   

এদের মধ্যে সজল মণ্ডল এবং সোমনাথ বসু দু’জনেই পূর্বে বাঁকুড়া জেলে বন্দী ছিলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগ রয়েছে। তাদের অপরাধমূলক ইতিহাস পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পুলিশের দাবি, তারা পাম্প হাউসগুলো থেকে মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি করত এবং আফজল শেখ ও তফিজুল শেখ সেই চুরি করা মাল বিক্রি করত। ধৃতদের কাছ থেকে চুরি হওয়া কিছু যন্ত্রাংশও উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, চুরি হওয়া যন্ত্রাংশগুলির মধ্যে বেশিরভাগই পাম্প হাউসের মেশিনারি এবং তামার তার ছিল, যা বেশ মূল্যবান এবং সহজে বিক্রি করা সম্ভব ছিল। এই চুরি দীর্ঘদিন ধরে চলছিল, এবং পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, এরা একটি বড় চক্রের অংশ। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, এই গ্যাংটি পরিকল্পনা অনুযায়ী আগে রেইকি করত এবং তারপর ঝোপ বুঝে কোপ মারত। তাদের অপরাধের ধরণ দেখে এটা স্পষ্ট যে, তারা খুবই পেশাদার এবং সংগঠিত ছিল।

মেমারি থানার পুলিশ বর্তমানে পুরো ঘটনাটির তদন্ত করছে এবং আরো বেশ কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা গ্রেপ্তার হওয়া দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে আরো কিছু মূল্যবান তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে, যা ভবিষ্যতে অন্যান্য দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে সহায়ক হবে। এই ঘটনায় পুলিশের পদক্ষেপে বেশ কিছু অপরাধী চক্রের রহস্য উদঘাটিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, মেমারি থানার পুলিশ এই ঘটনার পরে স্থানীয় জনগণকে আরও সতর্ক থাকতে এবং সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে দ্রুত পুলিশকে জানাতে আহ্বান করেছে। পুলিশ তাদের নজরদারি আরও শক্তিশালী করতে এবং এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষ উভয়ই আশাবাদী যে, পুলিশের কঠোর পদক্ষেপ এবং জনগণের সহযোগিতায় ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করা সম্ভব হবে।

এছাড়া, মেমারি (Memari) থানার পুলিশ (police) প্রশাসন জানিয়েছে, তারা এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে দ্রুত খুঁজে বের করতে আরও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মেমারি এবং আশপাশের এলাকায় পাম্প হাউসগুলির নিরাপত্তা জোরদার করা হবে এবং এখানকার পুলিশি নজরদারি আরও শক্তিশালী করা হবে।