আদালতে গিয়েই দলীয় সংঘর্ষ কবলিত জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে ঢোকার নির্দেশ আদায় করল সিপিআইএম(CPIM)। আদালতের নির্দেশে পুলিশই নিয়ে যাবে বাম নেতাদের। হাইকোর্টের নির্দেশের পর সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গাঙ্গুলি সহ ৫ প্রতিনিধি যাবেন বলে জানা যাচ্ছে|
জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনের ঘটনায় গোটা গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল তিনজনকে। অভিযুক্তদের নাম নজরুল মণ্ডল, আকবর ঢালি, আমানুল্লাহ জমাদার। এলাকায় তিনজনই তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই ঘটনার জেরে আক্রান্ত হয় এলাকার বাম সমর্থক পরিবারগুলি। ঘরছাড়াদের ফেরাতে গিয়ে বারবার পুলিশের বাধা পেয়ে CPIM মামলা করেছিল হাইকোর্টে। বলা হয়েছিল বাম সমর্থকদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যেতে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। দ্রুত যেতে দেওয়া হোক। সেই আবেদনে ম়ঞ্জুরি দিল আদালত।
জয়নগরের বামনগাছিতে তৃণমূল নেতা খুনের পর সংলগ্ন এলাকা দলুইখাকিতে হামলা হয়েছিল। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত দুটি অঞ্চল তৃণমূল ও বাম শিবিরে বিভক্ত। বাম সমর্থকরা আক্রান্ত হওয়ার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রবীণ সিপিআইএম নেতা প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলির সাথে যোগাযোগ করেন। সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী ও কান্তিবাবু বাম সমর্থকদের ফেরাতে গিয়ে পুলিশের বাধা পান। কান্তি গাঙ্গুলিকে ধাক্কা মারার অভিযোগে তীব্র সমালোচিত হয় জেলা পুলিশ। এবার হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশের পাহারায় যাবেন বাম প্রতিনিধিরা। নির্দেশে বলা হয়েছে কোনও রাজনৈতিক জনসভা করা চলবে না। পুলিশের সাথেই ঢুকতে হবে। ত্রাণ দিয়েই ফিরতে হবে।