উপনির্বাচনে বাম-নকশাল জোট, ‘মমতার গুণগ্রাহী’ লিবারেশনকে আসন ছাড়ল সিপিআইএম!

বিহারে যা সম্ভব তা বঙ্গেও শেষমেশ হলো! উপনির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের (left front) জোটে এল অতিবাম। সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Salim) তাঁর ফেসবুকে…

CPIM

বিহারে যা সম্ভব তা বঙ্গেও শেষমেশ হলো! উপনির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের (left front) জোটে এল অতিবাম। সিপিআইএম (CPIM) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Salim) তাঁর ফেসবুকে আসন্ন উপনির্বাচনে ৫টি আসনে বাম জোট প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছেন। এই তালিকায় একটি আসন অতিবাম সংগঠন সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-কে ছাড়া হয়েছে। এই রাজনৈতিক দলটি (CPIML Liberation) নকশালপন্থী দলগুলির মধ্যে প্রধান শক্তি। তাদের মূল রাজনৈতিক ক্ষমতা বিহারে। সে রাজ্যে বামও ইন্ডিয়া জোটের শরিক লিবারেশন ও সিপিআইএম।

রাজ্যে উপনির্বাচন হবে ৬টি আসনে। সোমবার (২১ আগস্ট) সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক ৫টি আসনে প্রার্থী তালিকা দেন। বাকি ১টি আসন কোন দলের জন্য তা স্পষ্ট হয়নি। তালিকায় দেখা যাচ্ছে বাম শরিকদলের সঙ্গে আছে লিবারেশন! তাদের জন্য নৈহাটি আসন ছাড়া হয়েছে।

   

এর আগে একাধিকবার সিপিআইএমএল লিবারেশন দলটি বারবার পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন আসনে বামফ্রন্ট বিরোধী প্রার্থী দিয়েছে। তখন দলটির রাজ্য কমিটির বার্তা ছিল কিছু আসনে প্রার্থী থাকলেও যেখানে মূল বাম দল শক্তিশালী সেখানে তাদের সমর্থন করা হবে।

সিপিআইএমএল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য ২০২১ সালের নির্বাচনে বলেছিলেন, ‘‘মমতা যে ভাবে ঝুঁকি নিয়ে রাজনীতি করেন তার জন্য প্রশংসা প্রাপ্য।’’ দীপঙ্কর ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতার রাজনৈতিক নৈকট্য নিয়ে এ রাজ্যে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। পরে ২০২২ সালে নিজেদের অবস্থান নরম করে লিবারেশন। দলটির তরফে বলা হয়েছিল, গত বিধানসভা নির্বাচনে ‘নো-ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান তৃণমূল সুবিধা পেয়েছিল। মমতার সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে বামদলগুলিকে একজোট করার ডাক দেন দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।

গত লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া জোটে লিবারেশন ও সিপিআইএম একসঙ্গে আসে। বিহার থেকে সাংসদ পাঠাতে পারে লিবারেশন। এবার তারা পশ্চিমবঙ্গে এসেছে বাম জোটে। যদিও সিপিআইএমের যুক্তি লিবারেশনের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়েছে।