আরজি কর-কাণ্ডের মাঝেই বেলঘরিয়ায় কিশোরীকে ধারাল অস্ত্রের কোপ যুবকের

আরজি কর-কাণ্ডে একদিকে যখন সমগ্র দেশ উত্তাল তখন বেলঘরিয়ায় (Belgharia) এক হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে গেল। প্রকাশ্য দিবালোকে এক কিশোরীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে একের পর…

আরজি কর-কাণ্ডে একদিকে যখন সমগ্র দেশ উত্তাল তখন বেলঘরিয়ায় (Belgharia) এক হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে গেল। প্রকাশ্য দিবালোকে এক কিশোরীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে একের পর এক কোপ মারার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে।

বন্ধুর সঙ্গে বচসার প্রতিবাদ করায় এহেন ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। বেলঘরিয়া থানা অন্তর্গত প্রফুল্ল নগরের ঘটনা। ঘটনার সময়ে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে জনতা এবং সেখানে ফেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে খবর। বর্তমানে দুজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। 

   

বন্ধুর সঙ্গে বচসার জেরে ওই যুবককে চড় মেরেছিল আক্রান্ত কিশোরী। কিন্তু তার পরিণতি এতটা ভয়াবহ হবে কেউ হয়তো ভাবতেও পারেনি। ইতিমধ্যে ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ। দিনে দুপুরে কিশোরীর সঙ্গে এহেন ঘটনার প্রতিবাদে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

বেলঘরিয়া পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত প্রফুল্লনগর এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ দত্ত। মেয়েটি খালসা মডেল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। মায়ের সঙ্গে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল মেয়েটি। সেই সময় টানেলের ভিতর তক্কে তক্কে ছিল যুবক। এরপর দাঁ নিয়ে অভিজিৎ দত্ত স্কুলফেরত ছাত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করে। আচমকা এহেন ঘটনায় হকচকিয়ে যায় সকলেই। শুরু হয় কোপানো। এদিকে মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন মাও।

ওই ছাত্রীর মা-কেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ছেলেটিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং ছেলেটির হাতে থাকা অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে এই বেলঘরিয়ায় কিশোরীর ওপর আক্রমণের ঘটনার পর ফের প্রশ্ন উঠছে, মেয়েরা কি আদৌ আর সুরক্ষিত বাংলায়?