পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্য থেকে ফিরে এলেই পাবেন মাথাপিছু ৫০০০ টাকা (Suvendu)। আজ নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন ই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ঠিক তার কিছুক্ষন পরেই রাজভবনের বাইরে থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন বাংলায় না আসার।
তিনি সরাসরি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে বলেন এটা শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতি এবং বাংলার ভোটব্যাংক মজবুত করার একটা চাল মাত্র। শুভেন্দু অভিযোগ করেন ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর অনেকরকম ভাতা দেবেন ভোট ফুরিয়ে গেলে আর চিনতে চাইবেন না।
এর পরেই পরিযায়ী শ্রমিক প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শুভেন্দু। শুভেন্দু বলেন রাজ্যপালের সাথে দেখা করে তিনি জানতে পারেন হরিয়ানা তে ১০০০ জন বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিককে তলব করে হরিয়ানা পুলিশ।
তাদের মধ্যে ৯৫২ জন বাংলায় কথা বলা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী। যাদেরকে আটক করেছে হরিয়ানা পুলিশ। আর বাকিদের সাথে ভদ্র ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। বাংলা এবং বাঙালি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি অকপটে বলেন যাদেরকে আটক করা হচ্ছে তারা কেউ কলকাতা বা বঙ্গবাসি বাঙালি নয় তারা সবাই বাংলাদেশী রোহিঙ্গা।
আজ ১০০ দিনের কাজের টাকার জন্য সুর চড়িয়েছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এই সম্বন্ধে শুভেন্দু জানান ১০০০ কোটি টাকা বাংলাদেশে চলে গেছে। ভুয়ো জব কার্ড ইস্যু করেছে রাজ্য সরকার এবং বাংলাদেশী শ্রমিকরা এই ১০০ দিনের টাকা নিয়ে গেছে। তিনি আরও জানান ৭০০০ কোটি টাকা সরকারি আধিকারিকরা তছরুপ করেছেন যা বেআইনি।
কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর চায় কোথায় গেল এত টাকা। এই টাকার হিসেবে না পাওয়া গেলে ১০০ দিনের কাজের টাকাও পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। বিরোধী দলনেতা বলেন এই টাকা কারুর ব্যাক্তিগত সম্পত্তি নয়। এই টাকা মানুষের ট্যাক্সের টাকা, তা নিয়ে নয় ছয় করা যাবে না।
এবং বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বার্তা দেন বঙ্গ বিজেপি দরকার হলে চাঁদা তুলে ৫০০০ টাকা করে দেবে এবং তারা যেন কোনো অবস্থাতেই বাংলায় না আসেন সে কথাও বলেন শুভেন্দু। তবে তৃণমূল এবং রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি শুভেন্দু এত রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারী কোথা থেকে পাচ্ছেন?
পৃথিবীর ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত ইসরো-নাসার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই স্যাটেলাইট
আবার অনেকে বলছেন সীমান্ত দিয়ে কি করে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা আসছে তার জবাব দিক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তবে বাক বিতন্ডা এবং ভোটের স্ট্রাটেজি সাজাচ্ছে দু দল ই এবং এই স্ট্রাটেজির কিভাবে তারা কাজে লাগান তা বোঝা যাবে বিধানসভা নির্বাচনের ফলের মধ্যে দিয়ে।