আজ ১২৫ তম মন কি বাত অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Suvendu Adhikari)। প্রত্যেক মাসের শেষ রবিবারে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশের অগ্রগ্রতির কথা ছড়িয়ে দেন সারা দেশে। আজ নন্দীগ্রাম রেয়াপাড়া বিধায়ক কার্যালয় ১১৫নং বুথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন কি বাত কার্যক্রম ভার্চুয়ালি দেখান হয়।
যুব মোর্চার পদাধিকারী ও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সাথে বসে ডিজিটাল মাধ্যমে সেই অনুষ্ঠান শুনলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সকালবেলা বুথে এসে প্রথমেই দেশমাতৃকা এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে ফুল দিয়ে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু। প্রধানমন্ত্রী আজ জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে বক্তৃতা দেন।
তিনি বলেন একসময় আমাদের বারবার বলতে হতো যে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। ওড়িশার এক কন্যা সেখানে গিয়ে পদক জিতছে, আর জম্মু ও কাশ্মীরের এক পুত্র দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খেলাধুলায় অংশ নিয়ে পদক জয় করছে।
এই বক্তব্যে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্প্রতিক উন্নয়ন এবং দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে এর সংযোগের কথা তুলে ধরেছেন। বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণের প্রশ্নঃস করেছেন।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী প্রতিবারই এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন যা যুব সমাজের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং তাদের ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়ক।”জম্মু ও কাশ্মীরের প্রেক্ষাপটে মজুমদারের মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৯ সালে ধারা ৩৭০ বাতিলের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।
এই অঞ্চল এখন ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হয়েছে। মজুমদার উল্লেখ করেছেন যে, ওড়িশার এক কন্যা জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে পদক জিতেছে। এটি কেবলমাত্র ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে একীকরণের একটি প্রতীক।
একইভাবে, জম্মু ও কাশ্মীরের এক যুবক দেশের অন্যান্য প্রান্তে খেলাধুলায় অংশ নিয়ে পদক জিতছে, যা এই অঞ্চলের যুবকদের সম্ভাবনা এবং তাদের জাতীয় মঞ্চে সাফল্যের প্রমাণ।