বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজ্য সরগরম। কোচবিহারে তিনি আক্রান্ত হন। বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ে থাকার কারণে তার শারীরিক কোনও আঘাত লাগেনি বলে বঙ্গ বিজেপি সূত্রে জানা গেছে। একটি ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে বিরোধী দলনেতার দাবি, মসজিদের সামনে হামলা হয়।
বিজেপি বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে লেখা হয় “কোচবিহারের খাগড়াবাড়ি মোড় এ তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা পুলিশের সামনেই বাঁশ, লাঠি রড নিয়ে আমার কনভয় এবং গাড়ির উপল নির্লজ্জের মতো হামলা চালায়। আমার গাড়িটি সহ কনভয়ের বেশ কয়েকটি গাড়ির কাঁচ ভেঙ্গে দেওয়া হয়।”
ওই পোস্টের সঙ্গে যে ভিডিও দেওয়া হয়েছে তাতে একটি মসজিদ দেখা যাচ্ছে। সেই মসজিদ দেখিয়ে বিরোধী দলনেতা.প্রশ্ন তুলেছেন, “আজ আমার উপর কোচবিহারের খাগড়াবাড়ির ঠিক কোন জায়গায় হামলা চালালো তৃণমূলী সন্ত্রাসবাদীরা?”
পোস্টে লেখা হয়, “কোচবিহারে আমাদের কর্মীরদের উপর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা লাগাতার হামলা করছে। আমাদের বেশ কিছু কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আমার সহযোদ্ধা বিজেপি বিধায়ক শ্রী সুশীল বর্মন, শ্রী নিখিল রঞ্জন দে এবং শ্রী বরেন বর্মনের উপর বর্বরোচিত আক্রমণ করা হয়েছে।”
কলকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশে কোচবিহারের এসপি’র দফতরের ডেপুটেশন জমা দিতে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হন বিরোধী দলনেতা। জেলা বিজেপির অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর নির্দেশে হামলা চালানো হয়। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিরোধী দলনেতা বলেছেন “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই একসময় নন্দীগ্রামে সিপিএম এর হার্মাদ বাহিনী ও জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের সাথে আমি রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করেছি, তারাই আমাকে আটকাতে পারেনি, সে তুলনায় আপনার তৃণমূলের এইসব গুন্ডারা দুগ্ধপোষ্য শিশু মাত্র।”
উল্লেখ্য রাজ্যে গত বাম জমানায় তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তখন তৃণমূল নেত্রী মমতার বিশেষ ঘনিষ্ঠ ছিলেন।