সাত সকালে মুর্শিদাবাদে হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা (Suvendu Adhikari)। জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে খানা তল্লাশি চালায় ইডি৷ নবম ও দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবারও তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ইডি-র অধিকারিকরা তাকে গ্রেফতার করে। পিছনের দরজা দিয়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়েন জীবন কৃষ্ণ।
তার মোবাইল দুটি ছুঁড়ে ফেলেছিলেন নালায়। পরে ইডি আধিকারিকেরা সেগুলিও উদ্ধার করে বলে জানা যায়। সাংবাদিক সম্মেলনে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার ই তীব্র নিন্দা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন ‘এখন তো শুধু কান টানা হয়েছে মাথা টা বাকি আছে।’ তিনি আরও বলেন এই জীবনকৃষ্ণ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং এখন তিনি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ।
তিনি তার বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন যে পার্থ এবং অভিষেকের সঙ্গে এই দুর্নীতির যোগাযোগ আছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে বলেন এই সরকারের ঘনিষ্ঠ লোকেরা শুধুই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। শুভেন্দুর মতে বীরভূম বাঁকুড়ার তোলাবাজির এজেন্ট ছিল এই জীবনকৃষ্ণ।
তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন আগামী বছরের এপ্রিল মাসে বাংলার মানুষ ভোট দিয়ে বিজেপি সরকারকে নিয়ে আসবে আর এই ‘চোরেদের’ বিসর্জন দেবে। তিনি বলেন জীবন কৃষ্ণ শুধু মাত্র একজন এজেন্ট। তাকে কাজে লাগিয়ে যারা টাকা লুটছে তাদের কে ধরা উচিত।
জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে গুঞ্জন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে ভোটের আগে ইডি এবং সিবিআই এর আনাগোনা বাড়ে। তার উত্তরে শুভেন্দু বলেন এরা ২০২১ এর পর থেকেই অভিযুক্ত কিন্তু সেই সময় কোনো ভোট ছিলনা।
‘আসল যুদ্ধেই শক্তি জানা যাবে’, ভারতের IADWS দেখে ভয় পেল চিন
কলকাতা হাই কোর্টের তরফ থেকে এই মামলায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই তদন্ত বন্ধ করতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। তবে সমালোচক কুল থেমে নেই তাদের মতে দুর্নীতিতে ভরা এই সরকারের মুখোশ অনেক আগেই খুলে গেছে। এবার শুধু মাত্র এদের পরিচালনা করছে কে তাদের ধরে বের করে শাস্তি দিতে হবে।