Suvendu Adhikari: মুখ পুড়ল মমতার পুলিশের! ভোটের মধ্যেই বড় জয় শুভেন্দুর

coochbehar-15-panchayat-members-left-bjp-and-joined-trinamool-congress

কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে পুলিশি হানার (Suvendu Adhikari) ঘটনায় বিরাট জয় পেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়ে দেন, এই মামলায় ১৭ জুন বা পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ থাকবে। তবে পুলিশ চাইলে এই সময়সীমার মধ্যে আদালতে আবেদন জানাতে পারে।

Advertisements

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে হানা দেয় রাজ্য পুলিশের একটি বিশাল টিম। বাড়িতে ঢোকার সময় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় বিজেপি কর্মীদের। এই তল্লাশির প্রতিবাদে কোলাঘাট থানা ঘেরাও করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। থানায় যান শুভেন্দু অধিকারীও। 

কোলাঘাট থানার পুলিশের দাবি ছিল, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই ওখানে যাওয়া হয়েছিল। এক দুষ্কৃতীর খোঁজে ওখানে গিয়েছিল পুলিশ। এই রেডের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, আইপ্যাকের লোক নিয়ে পুলিশ ঢুকেছিল আমার কার্যালয়ে। অস্ত্র-মাদক বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল।

‘ভোটের দিন তৃণমূল সমর্থকরা যেন বাড়ি থেকে না বেরোয়’, বিস্ফোরক ভিডিয়ো পোস্ট কুণালের

রাজ্য পুলিশকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, আমার হাইকোর্ট থেকে বিশেষ ‘রক্ষাকবচ’ নেওয়া আছে। এভাবে আমার অফিসে তল্লাশি চালানো যায় না। হাইকোর্ট থেকে বিশেষ অনুমোদন নিতে হয়। এর আগেও ভাইপোর নির্দেশে আমার বাবা-মাকে হেনস্থা করা হয়েছিল বলে দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। 

Advertisements

তল্লাশির ঘটনার পরের দিন, অর্থাৎ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন জানান শুভেন্দু। হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। শুভেন্দুর দাবি ছিল, পর্যাপ্ত তথ্য ও নথি ছাড়াই তাঁর ভাড়াবাড়িতে হানা দিয়েছে পুলিশ। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই আজ পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল আদালত। 

বাংলার বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার বান্ডিল বান্ডিল ৫০০-র নোট

শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে তল্লাশির ৬ ঘণ্টা পরে অর্থাৎ বুধবার, রাত ১২টা নাগাদ পুলিশ এফআইআর দায়ের করে। আদালতে এই প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, কী কারণে এফআইআর দায়ের করতে ৬ ঘণ্টা লেগে গেল? তল্লাশিতেও কিছু উদ্ধার হয়নি বলে দাবি করেন তাঁর আইনজীবী। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।