suvendu adhikari baruipur suspicious device
কলকাতা: বারুইপুরে একটি বাড়ির ছাদে “উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়্যারলেস ডিভাইস” বসানো হয়েছে—এমন দাবি তুলে রাজ্য রাজনীতি সরগরম করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, দুই “কাশ্মীরি ব্যক্তি” এই যন্ত্রটি বসিয়েছেন এবং এর সঙ্গে সন্দেহজনক কার্যকলাপের সম্পর্ক থাকতে পারে। তিনি টুইট করে একটি ছবিও শেয়ার করেন, যেখানে একটি অ্যান্টেনা সদৃশ বস্তু দেখা যাচ্ছে।
শুভেন্দুর গোয়েন্দাগিরি
তবে শুভেন্দুর এই গোয়েন্দাগিরি শেষ পর্যন্ত মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এটি আসলে একটি JioFiber ইন্টারনেট সংযোগের অঙ্গ এবং সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি আদৌ কাশ্মীরি নন—তাঁরা মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার।
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছিলেন, “বারুইপুরে দুই কাশ্মীরি ব্যক্তি ছাদে একটি NanoBeam 2AC ওয়্যারলেস ব্রিজ বসিয়েছেন, যা দূরত্বে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছাতে ব্যবহৃত হয়। আমি চাই রাজ্য পুলিশ এবং NIA এই বিষয়ে তদন্ত করুক।”
কী জানাল পুলিশ suvendu adhikari baruipur suspicious device
কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই X (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে তাঁর পোস্টে যুক্ত হয় একটি কমিউনিটি নোট, যেখানে বারুইপুর থানার বিবৃতি তুলে ধরা হয়।
পুলিশ জানায়, “তদন্তে দেখা গিয়েছে, দুই ব্যক্তির একজন হিন্দু, অন্যজন মুসলিম—দুজনেই মধ্যপ্রদেশের। তাঁরা প্রায় তিন সপ্তাহ আগে বারুইপুরে একটি ভাড়া বাড়িতে উঠেছেন। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, পশ্চিমবঙ্গে মাছ চাষ নিয়ে ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজছেন। ওনারা যে যন্ত্র বসিয়েছেন, তা আসলে একটি সাধারণ JioFiber সংযোগ—সারা দেশেই এটি ব্যবহৃত হচ্ছে, এতে সন্দেহজনক কিছু নেই।”
এই ঘটনার সময়সীমা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কয়েকদিন আগেই জম্মু-কাশ্মীরের পাহলগামে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের, যাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বিতান অধিকারী। বৃহস্পতিবার তাঁর দক্ষিণ কলকাতার বৈষ্ণবঘাটার বাড়িতে যান শুভেন্দু অধিকারী। নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “বিতান ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর স্ত্রী গৃহবধূ, বাবা-মা শারীরিকভাবে অসুস্থ। আশা করি রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেবে।”
West Bengal: Opposition leader Suvendu Adhikari‘s claim of a suspicious “wireless device” in Baruipur turns out to be a JioFiber connection. Police clarify the individuals involved are engineers from MP, not Kashmiris.