চণ্ডীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয়ের (Convoy Case) ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনার পারদ চড়েছে। বাংলার শাসক দল, বিরোধী দলনেতার পদত্যাগেরও দাবি জানিয়েছে।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে চণ্ডীপুরের দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে মামলা করলেন শুভেন্দু। তার অভিযোগ, তাঁর কনভয় যে রুট দিয়ে যাচ্ছে, সেই রুটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা করেন শুভেন্দু। আগামী বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ চণ্ডীপুরের একটি পেট্রল পাম্পের কাছে রাস্তা পার হচ্ছিলেন শেখ ইসরাফিল। সেইসময় আচমকাই শুভেন্দুর কনভয় এসে পড়ে। সেই কনভয়ের একদম সামনে থাকা গাড়িটি ধাক্কা মারে তাঁকে। গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়েন ইসরাফিল।
স্থানীয়দের দাবি, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে দাঁড়ায়নি শুভেন্দুর কনভয়। আহত যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উত্তেজিত জনতা ১১৬বি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন।এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে শুভেন্দুকে নিশানা করেন শাসকদল। তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল মৃত ইসরাফিলের বাড়িতে গিয়ে দেখা করে। এমনকী ৫ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যও করা হয় দলের তরফে।
পরে গাড়ির ড্রাইভার আনন্দকুমার পাণ্ডে আত্মসমর্পণ করেন। গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। চণ্ডীপুর থানার পুলিশ শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের চার জনকে নোটিস পাঠায়। এখন এই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি।