ভূতের মুখেই রাম নাম? অভিষেকের এলাকা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রশংসায় গোঁসা শুভেন্দুর?

সম্প্রতি সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে সর্বকালীন রেকর্ড মার্জিনে জিতেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেটা নিয়েই বিস্তর কারচুপি, রিগিং, ছাপ্পার অভিযোগ তুলে আদালতে…

Suvendu Adhikari donated increased salary to the DA activists of West bengal, বেতনের টাকা ডিএ আন্দোলনকারীদের দান করলেন শুভেন্দু

সম্প্রতি সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে সর্বকালীন রেকর্ড মার্জিনে জিতেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেটা নিয়েই বিস্তর কারচুপি, রিগিং, ছাপ্পার অভিযোগ তুলে আদালতে যেতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু এবার খোদ নির্বাচন কমিশনারের দেওয়া সার্টিফিকেট গোটা বিষয়টাতে কি জল ঢেলে দিল?

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার দক্ষিণ ২৪ পরগনার নির্বাচন সুষ্ঠভাবে করবার জন্য বেশ প্রশংসা করে একটা চিঠি লিখেছেন চিঠি লেখা হয়েছে বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামীর উদ্দেশ্যে। কি লেখা আছে সেই চিঠিতে? রাজীব কুমার লিখেছেন-“গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে আমি বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের ২০২৪ সালের লোকসভার সাধারণ নির্বাচনের সফল পরিচালনার জন্য আপনার এবং আপনার সহকর্মীদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

   

অর্থাৎ খোদ নির্বাচন কমিশনের মতেই, দক্ষিণ 24 পরগনার ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণ। যদিও বাংলায় নির্বাচনের দিন রাজনৈতিক অশান্তি, হিংসা, ছাপ্পা, রিগিং এমনকি মৃত্যুও দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। বাম আমল পেরিয়ে তৃণমূল আমলে এসেছে। কিন্তু সেই চিরচেনা পরিস্থিতির খুব একটা বদল এখনো দেখা যায়নি।

শিয়ালদহ শাখায় স্পেশাল টিকিট চেকিং, চলন্ত ট্রেনে শয়ে শয়ে TTE

যদিও অনেকের মতে এবার রেকর্ড মাত্রায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি, নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী হিংসার পরিমাণ অনেকটাই কমাতে সক্ষম হয়েছে। যদিও রাজ্যের বিরোধী দল অর্থাৎ বিজেপি সেটি মানতে নারাজ। তারা বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের ফলাফল এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার এবং জয়নগর-এর মত কেন্দ্র।

কিন্তু খোদ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবার দিল্লি থেকে এই চিঠি পাঠানোয়, হাতে অস্ত্র পেয়ে গেল শাসক শিবির। বিজেপির অভিযোগের পাল্টা হিসাবে আগামী দিনে এই চিঠি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সেই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতাদের আইনি লড়াই কি ধাক্কা খেলো এই চিঠির জন্য, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।