বাংলার বাইরে তৃণমূলের অবাক করা ফল

একুশের ভোটে তৃণমূলের স্লোগান ছিল বাংলা নিজের মেয়েকেই চাই। বাংলা জয়ের পর দেশের বাঙালি মন জয়ে সচেষ্ট হয় তৃণমূল। উত্তর-পূর্বের রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা করে।…

TMC

একুশের ভোটে তৃণমূলের স্লোগান ছিল বাংলা নিজের মেয়েকেই চাই। বাংলা জয়ের পর দেশের বাঙালি মন জয়ে সচেষ্ট হয় তৃণমূল। উত্তর-পূর্বের রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা করে। ভিনরাজ্যের ভোটেও লড়ে। তবে সফলতা আসেনি। চব্বিশের লোকসভা ভোটেও দেশের ঈশান কোণে নজর দেয় তৃণমূল। সেখানে তৃণমূল প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট অবাক করেছে।

অসম-মেঘালয়ের বাঙালি প্রধান এলাকায় প্রার্থী দেয় তৃণমূল। অসমের চার আসনে। শিলচর, লখিমপুর, বরপেটা এবং কোকড়াঝাড়। আর দুই লোকসভা আসনের মেঘালয়ের তুরা কেন্দ্র থেকে লড়ে তৃণমূল।

   

লোকসভা ভোটের প্রচারে অসমে গিয়েছিলেন তৃণমূল সু্প্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রাজ্যে তৃণমূলের কোনও প্রার্থীই দুই শতাংশের বেশি ভোট পাননি। সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন কোকড়াঝাড়ের প্রার্থী গৌরীশঙ্কর সারানিয়া। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২৩ হাজার ৫১৯। ১.৮৯ শতাংশ ভোট পেয়ে নিজের কেন্দ্রে তিনি ষষ্ঠ। শিলচরের প্রার্থী রাধেশ্যাম বিশ্বাস ২০ হাজার ৩৮৪ ভোট পেয়েছেন। তিনি তৃতীয়স্থানে। প্রাপ্ত ভোটের হার ১.৮৮ শতাংশ। মুসলিম প্রধান বরপেটার প্রার্থী আবদুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ১৬ হাজার ৪৩২ ভোট। ০.৯৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনি তাঁর কেন্দ্রে চতুর্থ। একইভাবে ১.১৭ শতাংশ চতুর্থস্থানে লখিমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ঘনাকান্ত চুতিয়া। তিনি ১৪ হাজার ১৯৭টি ভোট পেয়েছেন।

অসমের তুলনায় মেঘালয়ে তৃণমূলের ভোট প্রাপ্তির হার বেশি। এখানকার তুরা কেন্দ্রের ঘাসফুলের প্রার্থী ছিসেন জেনিথ সাংমা। মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার ভাই। তুরা কেন্দ্রে লড়াই করা চার প্রার্থীর মধ্যে তিনি তৃতীয় স্থানে। ৪৮ হাজার ৭০৯টি ভোট পেয়েছেন। প্রাপ্ত ভোটের হার ৭.২৩ শতাংশ। তবে ভোটে জেতা তাঁর হয়নি।

বাংলার বাইরে লড়াইয়ের পিছনে তৃণমূলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল জাতীয় দলের তকমা অর্জন। সেই শর্ত পূরণেই একাধিক রাজ্যে প্রার্থী দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির।