২০২২ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ।’ নির্দেশ বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চের।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। গত এক বছরে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি সামনে এসেছে। যার তদন্ত এখনো বহাল। যে সময় পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল তখন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং পর্ষদ সভাপতি ছিলেন গৌতম পাল। যদিও এখনো তিনি রয়েছেন।
এই বিষয়ে গৌতম পাল বলেছিলেন যে, ত্রুটিহীন ভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে করা হয়েছিল বিশেষ ব্যবস্থা। অন্যদিকে ব্রাত্য বসুও বলেছিলেন, সব দিকে খেয়াল রেখে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই পরীক্ষা যা ২০২২ সালের ডিসেম্বরে হয়। সেই প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তি স্থগিতাদেশ জারি করলো সুপ্রিম কোর্ট।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে এই স্থগিতাদেশ। নির্দেশ বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চের। গত এক বছর ধরে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একের পর এক নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকের নাম উঠে এসেছে। শিক্ষক নিয়োগে চরম দুর্নীতি। যেখানে যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও টাকা দিয়ে হয়েছিল নিয়োগ।
এবার ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। হেমা কোহলির বেঞ্চের দাবি সেখানেও কারচুপি হয়েছিল। পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে।