কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে ঝুলেই রইল ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য৷ সোমবারও শুনানি শেষ হল না৷ বরং আদালত জানতে চাইল, নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া কি সম্ভব? নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হলে, তা কতটা কঠিন হতে পারে, সে বিষয়েও জানতে চাইলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। আদালতের প্রশ্নের জবাবে মূল মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, অনেকে আবেদন না করেই স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতেই পারে৷ (supreme court hears ssc recruitment case)
দুপুরে শুনানি supreme court hears ssc recruitment case
সোমবার দুপুর ২টো নাগাদ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঞ্জীব খান্নার এজলাসে শুরু হয় এসএসসি মামলার শুনানি। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলা শুনানি পর্বে মূল মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিমেরা। পুরো প্যানেল বাতিল করা হল কেন, তা নিয়ে সওয়াল করেন বিকাশরঞ্জন।
ওএমআর শিট নিয়ে প্রশ্ন supreme court hears ssc recruitment case
ওএমআর শিটে নম্বর নিয়ম মেনেই কি প্রকাশ করা হয়েছিল? আইনজীবীদের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি খান্না। জবাবে বিকাশরঞ্জন জানান, এক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি। তিনি জানান, এই বিষয়ে মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর অনেক আগেই ফলপ্রকাশ করা হয়েছিল। বিকাশ আদালতকে জানান, গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ বৈধ-অবৈধ প্রার্থী মিশে রয়েছে৷ গোটা প্যানেল বাতিল করে দেওয়া উচিত। রাজ্যের উচিত ছিল স্বচ্ছ্বতা বজায় রাখা৷ রাজ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সকলে আলাদা আলাদা কথা বলেছে। কারও কথার মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।”
West Bengal: Supreme Court delays decision on 26,000 job applicants’ fate. CJI Sanjiv Khanna queries possibility of retesting. Lead lawyer Bikasranjan Bhattacharya argues for applicants’ exam retest.