মহাসমারোহে বৈদিক ভিলেজে চলল BJP প্রশিক্ষণ শিবির৷ কী করতে হবে? কী করতে হবে না? সবটাই শিখিয়ে পড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দলের নেতাদের। সেখানে তৃণমূল (TMC) থেকে আসা নেতাদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলছেন বিজেপি নেতৃত্ব৷ আবার কখনও বলছেন দলকে বাড়াতে হবে।
মিছিলের নামে লোক জড়ো করা নয়৷ বরং নিচুতলায় সংগঠনকে বাড়ানো প্রধান লক্ষ্য রাজ্য বিজেপির। তাই বিজেপির দ্বার খুলে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ তিনি বলেন,তৃণমূলের নেতাদের জন্য নয়, কর্মীদের জন্য আমাদের দরজা খোলা। এই মুহূর্তে তৃণমূলের কোনও নেতা বিজেপিতে আসতে চাইলে তাঁদের দলে নেওয়া হবে না। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তৃণমূলের সব নেতাই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই নেতা নয়, কর্মীদের আমরা দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে দরজা খোলা রাখছি। শুধু তৃণমূলই নয়, কোন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নেওয়ার ক্ষেত্রেই আমাদের আগ্রহ নেই। আমরা সব দলের কর্মীদের জন্য দরজা খোলা রাখছি৷
২০১৯ থেকে ২০২১ অবধি বস্তা ভর্তি করে বিভিন্ন দল থেকে যোগদানের মেলার চলেছে বিজেপি শিবিরে। ২০২১ এর নির্বাচনের পর একে একে দল ছাড়লেন বহু নেতারা৷ ফিরে গেলেন তৃণমূলে। ব্যাগ ভর্তি নেতাদের নিয়ে কোনও কাজ হয়নি৷ একথা এখন স্বীকার করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাই নীচুতলায় মূলস্তরের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে তৃণমূল কর্মীদের আহ্বান জানালেন সুকান্ত মজুমদার।
উল্লেখ্য, ভোটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই মুহুর্তে রাজ্য বিজেপির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। বিশেষ করে বুথ স্তরের সংগঠন৷ তাই ভোটের অঙ্কে বারবার মুখ থুবড়ে পড়তে হচ্ছে পদ্ম শিবিরকে৷ আর সিপিআইএম দ্রুত সেই জায়গা দখল করেছে। তাই অন্য দল থেকে বুথ কর্মীদের আনা জরুরী বলেই মনে করছেন সুকান্ত। তবে নেতা নয়৷
কারণ হিসাবে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখা, একাধিক দুর্নীতিতে একের পর এক শাসক দলের নেতাদের নাম জড়াচ্ছে। তাঁরা বিজেপিতে যোগদান করলে বিজেপির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে৷ তাই কর্মীদের ওপরেই ভরসা করতে চাইছেন তাঁরা।