সুকান্তর গৃহপ্রবেশে ধনকড়-বোসের কথোপকথনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

রাজধানীতে সুকান্ত মজুমদারের (BJP) বাড়ির গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি ছিল বেশ উৎসবমুখর। সেই অনুষ্ঠানে বিশেষ নজর কেড়েছে বাংলার দুই রাজ্যপাল। একজন বর্তমান রাজ্যপাল, সিভি আনন্দ বোস…

Curiosity Around Dhankhar-Bose's Conversation at Sukanta's Housewarming

রাজধানীতে সুকান্ত মজুমদারের (BJP) বাড়ির গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি ছিল বেশ উৎসবমুখর। সেই অনুষ্ঠানে বিশেষ নজর কেড়েছে বাংলার দুই রাজ্যপাল। একজন বর্তমান রাজ্যপাল, সিভি আনন্দ বোস ও অপরজন প্রাক্তন রাজ্যপাল, জগদীপ ধনকড়। তারা একে অপরের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ কথা বার্তা বলেন। প্রাক্তন ও বর্তমান রাজ্যপালদের মধ্যে কী কথোপকথন হল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

সুকান্ত মজুমদার ২০১৯ সালে প্রথমবার নির্বাচনে (BJP জয়ী হন। বালুরঘাট থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হন। তার পর থেকেই নতুন বাড়ির খোঁজে ছিলেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর নতুন বাড়ির জন্য খোঁজ চলছিল। অবশেষে ৩০, এপিজে আব্দুল কালাম রোডে তার নতুন ঠিকানা পাওয়া গেল। সুকান্ত মজুমদারের নতুন বাড়িতে গত শুক্রবার গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠান ছিল।

   

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। ভারতের লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-নেতা ও বাংলার সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, বিধায়ক স্বপন মজুমদারসহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তবে, অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি চর্চিত হয়েছেন বাংলার দুই রাজ্যপাল।

এদিন, প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একে অপরের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের হাত মেলাতে দেখা যায়। দুজনেই হাসিমুখে কথা বলেন। তাদের কথোপকথন নিয়ে শুরু হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা। বিশেষ করে, রাজ্যপাল হিসেবে ধনকড় এবং বোসের সম্পর্ক কখনও ভালো, কখনও খারাপ ছিল। ধনকড়ের রাজ্যপাল থাকাকালীন সময়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের তিক্ততা ছিল। তিনি প্রায়ই নবান্নের সঙ্গে নানা সমস্যায় জড়াতেন। অন্যদিকে, সিভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল হিসেবে প্রথম দিকে বিভিন্ন ইস্যুতে নবান্নের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে কিছু ইস্যুতে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

এখন প্রশ্ন উঠছে, দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছিল? বিশেষত, প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনকড়ের কাছ থেকে বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কী ধরনের পরামর্শ বা টিপস নিয়েছেন? তাদের কথোপকথন নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে, কারণ রাজ্যপাল হিসেবে তাদের অভিজ্ঞতা একেবারেই আলাদা। বিশেষত, ধনকড়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে বিভিন্ন ধরনের টানাপোড়েন ছিল এবং তার পরিচালনায় বিভিন্ন বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। অপরদিকে, সিভি আনন্দ বোসের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমদিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক ছিল, তবে পরবর্তীতে কয়েকটি বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

রাজ্যপাল হিসেবে কাজ করার সময়ে নবান্নের সঙ্গে সম্পর্কের গতি-প্রকৃতির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। ধনকড় এবং বোসের মধ্যে সম্পর্কের রং পরিবর্তন হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এ কারণে, তাদের কথোপকথনের বিষয়বস্তু নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, বর্তমান রাজ্যপালকে ধনকড়ের কাছ থেকে কী ধরনের অভিজ্ঞতা বা পরামর্শ নিতে হতে পারে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে এ ধরনের পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে কারণ তার সময়েও রাজ্য সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে। সুতরাং, গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে তাদের আলাপচারিতা নিয়ে আলোচনা হবে তা স্বাভাবিক। এই বিষয়ে আরও তথ্য আসতে থাকলে হয়তো জল্পনাটা আরও স্পষ্ট হবে।