কলকাতা: বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “অযোগ্যদের” পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “১০ বছর চাকরি করার পর যেসব শিক্ষকদের অযোগ্য বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা তাঁদের নিয়ে আলোচনা করছি। আদালতের নির্দেশে তাঁরা হয়ত আর শিক্ষকতা করতে পারবেন না, কিন্তু তাঁরা যেন অন্তত গ্রুপ সি-র চাকরি পান, তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি”, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পরেই ফের তৃণমূল সহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সিপিআইএমের (CPIM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
মমতার বিরুদ্ধে তার তোপ, মাননীয়া জানেন, অযোগ্যদের কাছ থেকে ওনার দলের নেতারাই টাকা নিয়েছে। তাই অযোগ্যদের একটা হিল্লে না করলে দলীয় নেতাদের পিঠের চামড়া আস্ত থাকবে না”। সেইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, “দাগীদের মাথায় উনি। দাগীদের মাথার মণি”। টাকার বিনিময়ে তৃণমূল কংগ্রেস চাকরি পাইয়ে দিয়েছে বলে বরাবর সরব সিপিআইএম।
তুমুল বিতর্ক এবং দীর্ঘ বিলম্বের পর আদালতের নির্দেশে অবশেষে ৩০ আগস্ট ‘দাগী তালিকা’ প্রকাশ করে এসএসসি। চাকরি খোয়ানো মোট ২৫ হাজার ৭৫২ জনের মধ্যে মাত্র ১৮০৪ জনের দাগী তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই নিয়ে রবিবার সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কোর্টে বলেছিল ৫৪৮৫ জন, হয়ে গেল ১৮০৪?” প্রকাশিত দাগি শিক্ষক তালিকায় শুধুমাত্র নাম আর রোল নাম্বার! স্কুলের নাম, বিষয় কেন উল্লেখ করা নেই?
সেইসঙ্গে শাসকদল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে তিনি বলেন, “দাগি তৃণ নেতা কারা? কে কত টাকা দিয়েছে? আর কারা টাকা নিয়েছে? লুটের টাকা ফেরত কবে? কে তাঁর উত্তর দেবে?” অন্যদিকে, দাগি তালিকায় গড়মিল নিয়ে সরব হন সিপিআইএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যও। রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের অযোগ্যদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করলে ‘তৃণমূল’ সংকটে পড়বে বলে কটাক্ষ করে আসছে সিপিআইএম সহ বিরোধীরা। টাকা দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বরঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা।