কোলাঘাটে ভাড়াবাড়িতে (Suvendu Adhikari) পুলিশি হানার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজ, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়েরের আবেদন জানান শুভেন্দু। হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। শুভেন্দুর দাবি, পর্যাপ্ত তথ্য ও নথি ছাড়াই তাঁর ভাড়াবাড়িতে হানা দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়কের বাড়িতেও পুলিশ হানা দেয়। পুলিশের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য ও নথি ছাড়া রেডের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হিরণ। মঙ্গলবার গভীর রাতে খড়গপুরের তালবাগিচায় হিরণের আপ্তসহায়ক তমোঘ্ন দে-এর বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ।
এই খবর পাওয়ার পর রাতেই সেখানে যান হিরণ চট্টোপাধ্যায়। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। অন্যদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে হানা দেয় রাজ্য পুলিশের একটি বিশাল টিম। বাড়িতে ঢোকার সময় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় বিজেপি কর্মীদের।
Lok Sabha Election: ভোটের তিনদিন আগে গ্রেফতার মেদিনীপুরের হেভিওয়েট বিজেপি নেতা
পুলিশের দাবি, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই ওখানে যাওয়া হয়েছিল। এক দুষ্কৃতীর খোঁজে ওখানে গিয়েছিল পুলিশ। এই রেডের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই তল্লাশির প্রতিবাদে কোলাঘাট থানা ঘেরাও করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।
রাজ্য পুলিশকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, আইপ্যাকের লোক নিয়ে পুলিশ ঢুকেছিল আমার কার্যালয়ে। অস্ত্র-মাদক বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল। আমার হাইকোর্ট থেকে বিশেষ ‘রক্ষাকবচ’ নেওয়া আছে। এভাবে আমার অফিসে তল্লাশি চালানো যায় না। হাইকোর্ট থেকে বিশেষ অনুমোদন নিতে হয়। এর আগেও ভাইপোর নির্দেশে আমার বাবা-মাকে হেনস্থা করা হয়েছিল বলে দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।