ঘরছাড়া কর্মীদের নিয়ে রাজ্যেপালের দ্বারস্থ শুভেন্দু

ফের রাজভবনের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী। ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মীরা বৃহস্পতিবার রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকটি বাসে করে…

West Bengal Governor CV Anand Bose

ফের রাজভবনের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী। ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মীরা বৃহস্পতিবার রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকটি বাসে করে বিজেপি কর্মীরা কলকাতায রওনা দেন। মোট ২০০ জন দলীয় কর্মী রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে তাঁদের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরবেন। রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা দলটিকে নেতৃত্ব দেবেন শুভেন্দু অধিকারী।রাজ্যপাল সি.ভি.আনন্দবোস এই ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে কী করেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিকমহল। এদিকে, বিকেল থেকেই রাজভবনের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। রাজভবনের নর্থ গেট সহ তিন দিকে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। কোথাও যেন কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকেও সতর্ক রয়েছে পুলিশ। ওই এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গাড়ি চলাচল।

বিজেপি এবার বাংলা থেকে ৩০ টির বেশি আসন পাবে বলে প্রচারে এসে হাঁকডাক দিয়েছিলেন দিল্লির বড় বড় নেতারা। কিন্তু ৪ জুন ফলাফল বেরোতেই দেখা গেল বঙ্গ বিজেপি যেন আসলে ‘কাগুজে বাঘ’। এই উলট ফেরের জেরেই বিপাকে পড়েছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। বিভিন্ন জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে তৃণমূলের হাতে বেধরক মারধর খেতে হচ্ছে, জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি কর্মীদের ঘর। যার জেরে রাতের অন্ধকারে খোলা আকাশের নিচেই কাটাতে হচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। রাজভবন সূত্রে খবর, এদিন প্রায় ২০০ জন বিজেপি কর্মীদের নিয়ে রাজভবনে প্রবেশ করবেন শুভেন্দু। রাজভবনের মাহেশ্বরী ভবনে ঘর ছাড়াদের রাখা হবে বলেও জানা গিয়েছে।  

   

তবে ভোট মিটলেও আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত রাজ্যে হিংসা রুখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকার কথা জানিয়েছিন নির্বাচন কমিশন। সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আদৌ কতটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই রাজ্যে বিজেপির একাধিক সাংসদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে আঙুল তুলেছেন।

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পরও একই রকম ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি দেখেছিল রাজ্যবাসী। সেই সময় রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেপি নাড্ডা, বি.এল.সন্তোষের মতো হেভিওয়েট নেতারাও এসেছিলেন। রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। যদিও সেইসব এখন অতীত! তবে অতীতের পুনরাবৃত্তি এখনও হয়েই চলেছে।

অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের খেঁজুরিতে যাবে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। জানা গিয়েছে,শুভেন্দু গড়ে হিংসার কবলে পড়তে হয়েছে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেই সেখানে যাবেন কুনাল ঘোষ, বীরবাহা হাঁসদা, কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক ও শিউলি সাহারা।