পুলিশ আর তৃণমূলে ফারাক নেই : শুভেন্দু

নিউজ ডেস্ক: রাজভবন জট কাটতেই এবার উত্তরবঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার কোচবিহারে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নিয়ে দলীয় সভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিন কোচবিহারের পরাজিত বিজেপি…

Subhendu Adhikary

নিউজ ডেস্ক: রাজভবন জট কাটতেই এবার উত্তরবঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার কোচবিহারে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নিয়ে দলীয় সভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিন কোচবিহারের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী নীশীথ প্রামাণিককে বাসে বসিয়ে রাজ্যকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। দলীয় কর্মীদের সভায় রাজ্যের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দেগে তিনি বলেন,” পুলিশ ও তৃণমূলের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা হলে তাঁর দায় নিতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে।”

এদিনের দলীয় সভায় উপস্থিত ছিলেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যেরাও। শুভেন্দুকে কাছে পেয়ে একের পর এক সদস্য তাঁদের অভিযোগের কথা জানাতে থাকেন তাঁকে। দলীয় কর্মীদের কথা শুনে পাল্টা পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন বিরোধী দল নেতা। তবে শুভেন্দুর পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছেন রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যে নির্যাতিত বিজেপি কর্মীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের দারস্থ হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের বাধায় শেষ পর্যন্ত রাজভবনে পা রাখতে পারেন নি তিনি। তারপর শুক্রবার হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে রাজভবনে প্রবেশাধিকার পান। আদালতের নির্দেশ হাতে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

   

এবার লোকসভা ভোটে কোচবিহারে অপ্রত্যাশিতভাবে হারের সন্মূখীন হতে হয়েছে বিজেপিকে। উত্তরবঙ্গের তথাকথিত ‘হোম মিনিস্টার’ নীশীথকে কয়েক হাজার ভোটে পরাজিত করেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বাসুনিয়া। উত্তরবঙ্গে এই উলট-ফের স্বভাবতই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বঙ্গ বিজেপিকে। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও উত্তরবঙ্গের এই ফলাফল চিন্তা বাড়িয়েছে। সম্প্রতি কোচবিহারের একাধিক কেন্দ্রে ইভিএম বাতিলের অভিযোগ তুলে সরব হন নীশীথ প্রামাণিক। একই সুরে গেয়েছিলেন রানাঘাটের জয়ী বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তবে সেই অভিযোগ এখন আদৌ কতটা ধোপে টিকবে তা নিয়ে সন্দীহান বিজেপির রাজ্য নেতারাই।

তবে ফলাফল পর্ব মিটলেও এখন কিন্তু সবথেকে বড় মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপি কর্মীদের নিরাপত্তা। ‘আবকি বার ২৫ পার’ আওয়াজ যে এভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে হয়ত কল্পনাও করতে পারেনি শুভেন্দু-সুকান্তরা। তাই রণহুঙ্কারের ফাঁপা আওয়াজ বেরোতেই গেরুয়া শিবিরের ওপর তৃণমূল চড়াও হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। এই ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দিল্লির আনন্দ ফাননে বিজেপির সদর দফতর। বাংলায় এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা। রাজনৈতিক মহলের ধারণা তাঁর আগে শুভেন্দুকে দিয়েই আক্রান্ত কর্মীদের মনোবল বাড়াতে চাইছে জেপি নাড্ডারা।