ধর্ষণকাণ্ডে অবশেষে দোষীর ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত

বর্তমানে আরজি কর-কাণ্ডকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলা তথা দেশ। তিলোত্তমার সুবিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। গত ৯ আগস্ট আরজি…

বর্তমানে আরজি কর-কাণ্ডকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলা তথা দেশ। তিলোত্তমার সুবিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। গত ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। আর এই ঘটনা সবাইকে রীতিমতো নাড়িয়ে রেখে দিয়েছে। কবে ন্যায় মিলবে? সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন সকলে। কিন্তু এরই মাঝে এক ধর্ষণকাণ্ডে (Siliguri) মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।

জানা গিয়েছে, এবার শিলিগুড়িতে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট। স্কুল থেকে ফেরার পথে এক নাবালিকা ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর সেই ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ছাত্রীটিকে প্রথমে ধর্ষণ তারপর খুন করা হয়। এরপর এই ঘটনায় পুলিশ মহম্মদ আব্বাস নামের ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

   

এবার এই ঘটনাতেই সাজা শোনাল আদালত। অভিযুক্ত মহম্মদ আব্বাসের ফাঁসির সাজা শোনাল মহকুমাদেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত। ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি মহকুমার মাটিগাড়ায়। জানা যায়, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নাবালিকার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর অভিযুক্ত রবীন্দ্রপল্লীর একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নাবালিকা মেয়েটিকে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধর্ষককে মেয়েটি বাধা দিলে ইট দিয়ে অভিযুক্ত মেয়েটির মুখ থেঁতলে দেয়। স্থানীয়রা মেয়েটির চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখেন স্কুলের ইউনিফর্ম পরা নাবালিকা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মেয়েটির মৃত্যু হয়। ভুক্তভোগী নেপালি মাধ্যম স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।