উচ্চ মাধ্যামিকেও কড়া নিয়ম, না মানলে শাস্তি কঠোরতম

মাধ্যামিক পরীক্ষা চলছে এর মধ্যেই তৈরী হল উচ্চমাধ্যমিকের নিয়মাবলী। উচ্চ মাধ্যামিক শিক্ষা সংসদ সাফ জানিয়ে দিয়েছে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট…

মাধ্যামিক পরীক্ষা চলছে এর মধ্যেই তৈরী হল উচ্চমাধ্যমিকের নিয়মাবলী। উচ্চ মাধ্যামিক শিক্ষা সংসদ সাফ জানিয়ে দিয়েছে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট পাওয়া গেলে সে বছর আর পরীক্ষা দেওয়া হবে না তার। শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান এবারের নিয়ম আরো কড়া যা মানতে হবে পড়ুয়াদের। সেই সঙ্গে পর্যবেক্ষদের ও দায়িত্ব থাকবে যাতে নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় থাকে। চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, “এবার থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মোবাইল ফোন, স্মার্টওয়াচ, হেডফোন এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত গ্যাজেট পরীক্ষার হলে ব্যবহার করা যাবে না, এমনকি এগুলি সঙ্গে রাখাও নিষিদ্ধ।” এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পরীক্ষা চলাকালীন সময় যাতে কোনো পরীক্ষার্থী কোনো ধরনের প্রযুক্তিগত সাহায্য নিতে না পারেন এবং পরীক্ষা সুষ্ঠূ ভাবে সম্পন্ন হয়।

কোনো পরীক্ষার্থী র কাছ থেকে স্মার্ট ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট পাওয়া গেলে বাতিল হবে এডমিট কার্ড, বসতে হবে পরের বছর। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে তল্লাশি চালাতে হবে পরীক্ষার্থীদের উপর। এমনকি ব্যবহার করতে হবে সংসদের স্থির করে দেওয়া ক্যালকুলেটর। এই নতুন নিয়মের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, কারণ তাদের মতে, এতে পরীক্ষার পরিবেশ আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ হবে।

   

এছাড়া, চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে অতিরিক্ত নজরদারি এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। প্রতিটি পরীক্ষার্থীর জন্য আলাদা সেলফোন চেকিং ব্যবস্থা তৈরি করা হবে, যাতে কোনোভাবেই তারা নিষিদ্ধ গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে।” উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠূ মূল্যায়ন এবং কোনো ধরনের প্রতারণার ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। তারা বলছেন, এর ফলে পরীক্ষার ফলাফলও আরও নির্ভুল এবং ন্যায্য হবে।