Purba Bardhaman: কাঁকসায় ধৃত ছাত্রের সঙ্গে আনসার জঙ্গি যোগ, বাংলাদেশি সংগঠনটির নিশানায় এপারের মুক্তমনা লেখকরা

Kolkata 24×7: বাংলাদেশের আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে সংযোগ আছে এমন অভিযোগে পূর্ব বর্ধমান জেলার (Purba Bardhaman) মানকর কলেজের কম্পিউটার সাশ্রেন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র…

Kolkata 24×7: বাংলাদেশের আনসার আল ইসলাম জঙ্গি সংগঠনটির সঙ্গে সংযোগ আছে এমন অভিযোগে পূর্ব বর্ধমান জেলার (Purba Bardhaman) মানকর কলেজের কম্পিউটার সাশ্রেন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হবিবুল্লাহ ধৃত। পুলিশের দাবি, অনলাইনে জঙ্গি প্রচার চালাত এই ছাত্র।

বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) তাদের ঘাতকদের দিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তিবিদ ও নাস্তিকদের পরপর খুন করত। মুক্তমনা লেখকদের পরপর খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরুর পর ওই সংগঠনটি নাম বদলে আনসার আল ইসলাম রেখেছে। সংগঠনটির সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গেও মুক্তমনা যুক্তিবাদী ও নাস্তিকদের খুনের টার্গেট করেছে।

   

আনসার আল ইসলাম বা আহসারুল্লাহ বাংলা টিম (ABT)
আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি), যাকে আনসার বাংলাও বলা হয় বাংলাদেশের একটি জঙ্গি সংগঠন। এই সংগঠনটি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি নাস্তিক ব্লগারদের খুনে জড়িত।  ২০১৫ সালের মে মাসে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ সরকার। এরপর থেকে আল কায়েদা দলটির সদস্যরাই আনসার আল ইসলাম নামে তৎপরতা চালিয়ে আসছে।

পশ্চিমবঙ্গ, অসম সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট বাংলাদেশের আনসার আল ইসলাম জঙ্গিরা তাদের সংগঠনের পুরনো নাম ‘এবিটি’ ভারতের মাটিতে ব্যবহার করে। দুই রাজ্যেই সংগঠনটির বেশকিছু সদস্য পুলিশের জালে।

বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যকলাপ আপাত স্থিমিত বলেই দেশটির গোয়েন্দা বিভাগ একাধিকবার রিপোর্ট দিয়েছে। ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশান এলাকায় হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদশে ঘাঁটি তৈরি করা জঙ্গি বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতিতে আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট ঘনিষ্ঠ জঙ্গি সংগঠনগুলিকে ভেঙে দেওয়া সম্ভব হয়। তবে সেই রিপোর্টে বলা হয়,সরাসরি হামলা ও নাশরতার বদলে মগজ ধোলাই নীতিতে জোর দিয়েছে সংগঠনগুলি।

বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলি ভারত সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির মধ্যে নিজেদের ‘সেফ করিডর’ তৈরি করে রেখেছে। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলির বিশেষ পছন্দ পশ্চিমবঙ্গ ও অসম। ত্রিপুরা, মেঘালয়ে আছে বাংলাদেশের সশস্ত্র পাহাড়ি উপজাতি সংগঠনগুলির যাতায়াত। একাধিক অভিযানে ভারতে ঘাঁটি তৈরি করা বাংলাদেশি জঙ্গি যোগ সন্দেহে অনেকেই ধৃত। ঢাকা মহানগর পুলিশের জঙ্গিদমন শাখার তথ্য অনুযায়ী সম্প্রতি উগ্র ইসলামি সংগঠনগুলোর আক্রমণ নেই কারণ জেএমবি, নব্য জেএমবি, আনসার আল ইসলামের মত সংগঠনগুলির প্রথম সারির নেতৃত্ব হয় নিহত নয় জেলে বন্দি। তবে পাহাড়ি এলাকায় মাথাচাড়া দিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।