মাঠে নেমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন বিএলও-রা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোটারদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন SIR-র (SIR in Bengal) কাজের জন্য ব্যবহৃত Enumeration Form। তবে সাধারণ মানুষদের জন্য সবথেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে—এই ফর্মটি পূরণ করবেন কীভাবে? ফর্মটি কেমন দেখতে হবে? কোন তথ্যগুলো দেওয়া বাধ্যতামূলক এবং কোনগুলো ঐচ্ছিক? এই নিবন্ধে আমরা ধাপে ধাপে বিস্তারিতভাবে সেটি জানাচ্ছি।
সাধারণত এটি কাগজের ফর্ম হলেও কিছু ক্ষেত্রে অনলাইন বা PDF আকারেও বিতরণ করা হতে পারে। ফর্মটি হাতে পাওয়ার পর প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে—সকল তথ্য পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে কি না। ফর্মের উপরে সাধারণত নির্বাচন কমিশনের লোগো ও ফর্মের নাম লেখা থাকে।
ফর্মের দ্বিতীয় ধাপে শুরু হয় ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে সাধারণত নিচের তথ্যগুলো দিতে হয়:
- জন্ম তারিখ: ভোটারের জন্ম তারিখ অবশ্যই দিতে হবে।
 - আধার নম্বর: দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, তবে দিলে তথ্য যাচাই সহজ হয়।
 - মোবাইল নম্বর: যোগাযোগের জন্য নম্বর দেওয়া প্রয়োজন।
 - বাবার নাম এবং এপিক নম্বর: ভোটারের বাবার নাম লিখতে হবে এবং যদি ভোটার কার্ড থাকে, তার এপিক নম্বর দিতে হবে।
 - মায়ের নাম এবং এপিক নম্বর: একইভাবে মাতার নাম ও ভোটার কার্ড থাকলে এপিক নম্বর দিতে হবে।
 - স্বামীর নাম (প্রয়োজনে): যদি বাবা-মা জীবিত না থাকেন বা মহিলাদের সুবিধার্থে, স্বামীর নাম দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ স্থান রাখা হয়েছে। স্বামী থাকলে তাঁর ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর দিতে হবে।
 
এই ধাপে দেওয়া তথ্য যথাযথভাবে পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুল তথ্য দিলে পরবর্তী যাচাই প্রক্রিয়ায় সমস্যা হতে পারে। তাই ফর্ম পূরণের সময় মনোযোগী হওয়া জরুরি।
ফর্মের তৃতীয় ধাপটি শেষ পর্যায় হিসেবে ধরা যায়। এখানে ভোটারের পূর্ববর্তী সম্পর্কিত তথ্য পূরণ করতে হয়। সাধারণত দুটি অংশ থাকে:
- ২০০২ সালের সংশোধিত তালিকার নির্বাচকের নাম: ভোটারের সঙ্গে এই নির্বাচকের সম্পর্ক উল্লেখ করতে হবে।
 - নির্বাচকের পরিচয়: পূর্ববর্তী নির্বাচকের সঠিক পরিচয় দেওয়া বাধ্যতামূলক। এটি ভোটার যাচাই প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
 
এই ধাপটি ভোটারদের পরিবারের ইতিহাস ও সম্পর্ক যাচাইয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। সঠিক তথ্য দেওয়া হলে পরবর্তী সময়ে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি প্রক্রিয়া সহজ হয়।


