সিঙ্গুর জমি মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। শুক্রবার বিচারপতি পি নরসিমহা ও বিচারপতি অতুল এস চান্দুরকরের বেঞ্চ আরবিট্রেটরের রায় বহাল রেখে জানিয়ে দেয়—টাটা মোটরসকে ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্যকে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০০৬ সালে। তৎকালীন বাম সরকার একলাখি গাড়ির কারখানা গড়ার জন্য সিঙ্গুরের প্রায় হাজার একর কৃষিজমি অধিগ্রহণ করে। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেত্রী, যিনি সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন। কারখানা গড়া সম্ভব না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত টাটা গোষ্ঠী প্রকল্প সরিয়ে নেয়।
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই জমি কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর টাটা মোটরস ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করে, যা ২০২৩ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ও টাটা মোটরসের মধ্যে চলতে থাকে। সমস্যা সমাধানে সুপ্রিম কোর্ট তিন সদস্যের একটি সালিশি কমিটি গঠন করে।
রাজ্যের অভিযোগ ছিল, সালিশি কমিটির এক সদস্য টাটাদের পক্ষে পক্ষপাতদুষ্ট। কপিল সিব্বলের দাবি, ওই বিচারপতি টাটা গোষ্ঠীর আমন্ত্রণে ১৫ বার নাগপুর গিয়েছেন। তবে এই অভিযোগে হাইকোর্টে আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টেও শুক্রবার রাজ্যের আবেদন একইভাবে খারিজ হয়।
টাটাদের আইনজীবী মুকুল রোহতগি অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করে রাজ্যকে জরিমানা করার দাবি জানান। আদালত সতর্ক করে বলে, অভিযোগ অযৌক্তিক প্রমাণিত হলে রাজ্যের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের আবেদন খারিজ হয় এবং টাটাদের পক্ষে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ বহাল থাকে।