নবান্নের (West Bengal Government) আধিকারিকদের মতে, অনেক সময় ব্লক, মহকুমা বা জেলা স্তরের কিছু প্রশাসনিক আধিকারিকরা (West Bengal Government) নিজেরাও কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেন না। এর ফলে, কোথায় কী কাজ চলছে এবং কতটা এগিয়েছে, তা বোঝা যায় না।
এছাড়া, সরকারের (West Bengal Government) বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে, যেহেতু প্রশাসনিক স্তরে কাজের প্রতি যথাযথ মনোযোগ দেওয়া হয় না। এই কারণেই রাজ্য সরকার (West Bengal Government)এই উদ্যোগ নিয়েছে যাতে শাসনব্যবস্থার অভ্যন্তরে কোনো গাফিলতি না ঘটে এবং প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে সম্পন্ন হয়।
সরকারের (West Bengal Government)পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযোগ এসেছে যে, অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল থাকে না, ফলে কাজের গতি মন্থর হয়ে যায়। প্রকল্পগুলো অনেক সময় শেষ হতে অনেক দেরি হয়ে যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে। প্রশাসনিক স্তরের এই দুর্বলতা মোকাবিলা করতেই নতুন ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা হয়েছে।
নতুন হেল্প ডেস্কটি সরকারী কাজের অগ্রগতির উপর নজর রাখবে এবং এটি একটি সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেম হিসেবে কাজ করবে। সমস্ত তথ্য এবং পরিদর্শন রিপোর্ট সেখানে জমা হবে এবং তা তদারকি করা হবে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে যে, মাঠে গিয়ে আধিকারিকরা কাজের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তার রিপোর্ট সঠিকভাবে জমা দিচ্ছেন।
নবান্নের আধিকারিকরা বলছেন, এই উদ্যোগটি সফল হলে সরকারের নানা প্রকল্পের কাজের গতি বাড়বে এবং সঠিক সময়ে সেগুলি সম্পন্ন হবে। এই ধরনের একটি ব্যবস্থা চালু হলে সাধারণ মানুষের কাছে আরও দ্রুত উন্নয়নমূলক কাজ পৌঁছানোর সুযোগ হবে। বিশেষ করে, যারা বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের আওতায় উপকার পাচ্ছেন, তাদের জন্য এটি একটি আশার খবর হতে পারে।
এর মাধ্যমে একদিকে যেমন প্রশাসনিক স্তরের দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করা যাবে, তেমনি জনগণের সুবিধা বাড়ানোর কাজেও গতি আসবে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগটি যদি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে অন্যান্য রাজ্যগুলোও সম্ভবত এর থেকে শিক্ষা নিতে পারে। সরকারি কাজে ফাঁকিবাজি রোধ করতে এবং শাসনব্যবস্থার স্বচ্ছতা বাড়াতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে চলেছে।